সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, সোমবারই জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বম্বে হাই কোর্টে সেই শুনানি শুরুর আগেই সব শেষ। প্রয়াত সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী (Stan Swamy)। এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যান স্বামীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ মে থেকেই মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত স্বামী। গত সপ্তাহ থেকেই সমাজকর্মীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। তাঁর আইনজীবী জানান, রবিবার রাতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। আর সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার পরই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্বামী।
[আরও পড়ুন: ‘তুষার মেহতার বাড়িতে শুভেন্দুর CCTV ফুটেজ কোথায়?’ রাইসিনায় গিয়ে প্রশ্ন সুখেন্দুশেখরের]
এলগার পরিষদ মামলায় (Elgar Parishad Case) গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্ট্যান-সহ একাধিক সমাজকর্মী। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) অভিযোগ করেছিল, ভীমা কোরেগাঁওয়ে জাতপাতের ভিত্তিতে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন স্ট্যান এবং অন্য অভিযুক্তরা। পাশাপাশি মাওবাদীদের হয়ে কাজ করা সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে আয়োজিত একটি কনক্লেভে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার কারণে পরের দিন ভীমা কোরেগাওঁয়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও দাবি করা হয়।
গত মাসে অসুস্থতার কারণে স্ট্যানের আইনজীবী জামিনের আরজি জানালে তার বিরোধিতা করে NIA। স্ট্যানের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেই দাবি করে তারা। কিন্তু স্ট্যান জানিয়েছিলেন, পার্কিনসন-সহ একাধিক গুরুতর রোগে ভুগছেন তিনি। সেজন্যই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন। তবে আদালতের নির্দেশেই ভরতি হয়েছিলেন হাসপাতালে। গত মাসে করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। আর এদিন অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানির আগেই পরলোক গমন করলেন তিনি।