সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলিঙ্গ সুপার কাপে এই দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) পেনাল্টি নষ্ট করেছিলেন। সুপার কাপের ডার্বিতে মোক্ষম সময়ে অজি তারকা পেনাল্টি নষ্ট করায় নক আউট হয়ে যায় মোহনবাগান (Mohun Bagan)। আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে পেত্রাতোসই মোহনবাগানের চালিকা শক্তি।
গোটা মাঠ জুড়ে খেললেন। দলকে খেলালেন। মোহনবাগান যখন ২-১ গোলে পিছিয়ে এবং সমর্থকরা মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল (East Benagl) ম্যাচ নিয়ে চলে যাবে, ঠিক সেই সময়ে পেত্রাতোস জ্বলে উঠলেন। গোল করে সমতা ফেরালেন। সমর্থকদের হৃদয়ে হিল্লোল তুললেন। তার পরে তাঁর সেই দারুণ সেলিব্রেশন।
[আরও পড়ুন:এগিয়ে থেকেও পারল না ইস্টবেঙ্গল, পিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাক মোহনবাগানের, রুদ্ধশ্বাস মেগা ডার্বি ড্র]
পেত্রাতোস মনে হয় সুপার কাপের পেনাল্টি নষ্ট করার প্রায়শ্চিত্ত করে গেলেন। ম্যাচের সেরাও তিনি। ইস্টবেঙ্গল মরণকামড় দিয়েছিল। দুবার এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু মোহনবাগান দুবারই ফিরে আসে। ইস্টবেঙ্গলের এই মরিয়া লড়াই প্রসঙ্গে ম্যাচের শেষে পেত্রাতোস বলেছেন, ”এই মরশুমের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ।” কোনও দলই জমি ছাড়েনি। উপভোগ্য ম্যাচ হয়েছে। পেত্রাতোস বলেন, ”প্রতিটি মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গেল আমাদের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে দিয়েছে।” টানটান ম্যাচ হয়েছে। এই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গেল তো মোহনবাগান ম্যাচে ফিরে এল। শেষ মুহূর্তে গোল করে পেত্রাতোস প্রাণ ফেরালেন মোহনবাগানে। বহুযুদ্ধের সৈনিক পেত্রাতোস বলে গেলেন, ”এরকম ডার্বি আরও হওয়া উচিত।” গ্যালারি ভর্তি স্টেডিয়ামে খেলা উপভোগ করেন ফুটবলাররা। দর্শকরা দ্বাদশ ব্যক্তির কাজ করেন। পেত্রাতোস বলেন, ”গ্যালারি ভর্তি এরকম স্টেডিয়ামেই খেলা হওয়া উচিত। এর উন্মাদনাই অন্যরকম।”
ডুরান্ড কাপ ফাইনালে পেত্রাতোস গোল করে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আজ অজয় ছেত্রী তিন মিনিটে যখন গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন, তখন পেত্রাতোসের ফলো করছিল ক্যামেরা। তিনি ইশারায় মোহনবাগানের ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিলকে জিজ্ঞাসা করেন, কী হল তোমার? গোলটা কী করে হয়ে গেল? পেত্রাতোস প্রথম থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি তৈরি। তিনি ঢুকে পড়েছেন ম্যাচের ভিতরে। খেলার শেষে ম্যাচের সেরা বলেন, ”আমার পারফরম্যান্সই শেষ কথা নয়। ডুরান্ড কাপের ফাইনালেও গোল করেছি। এবারও করলাম। ভালো লাগছে যে মোক্ষম সময় গোল করতে পেরেছি।” একসময়ে মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল বোধহয় তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু পেত্রাতোস তা হতে দিলেন না। দেখে শুনে মনে হচ্ছিল, কী ভীষণ প্রতিজ্ঞা করে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন পেত্রাতোস।