শুভঙ্কর বসু: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভায় ভোট (KMC Election)। কিন্তু রাজ্যের আরও ১১৩টি পুরসভার ভোট এখনও বাকি। সেসব পুরসভায় ভোট করানো নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা, তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে হাই কোর্ট জানতে চেয়েছিল পুরভোট নিয়ে চিন্তাভাবনা কী। সোমবার হলফনামায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে পুরভোট করাতে প্রস্তুত কমিশন। ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হতে পারে।
কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ভোট ঘোষণার পরপরই রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সব পুরসভার বকেয়া ভোট একসঙ্গে করতে হবে। তবে কলকাতা পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুরবদল করে বিজেপি। একসঙ্গে পুরভোট না হলেও, একদিনে গণনা করার দাবি তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেই মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। আগের শুনানিতে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে কী ভাবনা রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: SSC গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা: CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ হাই কোর্টের, গঠিত হল সিট]
সোমবার হলফনামা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) জানায়, ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যে বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট করাতে প্রস্তুত। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হবে। তাতে উচ্চ আদালত জানতে চায়, এর আগে এপ্রিলে ভোট করানোর কথা বলা হয়েছিল। তাহলে এখন কেন একমাস পিছিয়ে যাচ্ছে? তাতে কমিশনের উত্তর, সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, নিরাপত্তার চিত্র দেখে তবেই মে মাসের কথা বলা হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে এত দফায় ভোটের প্রস্তাব দিচ্ছে কমিশন। এবার কমিশনের এই প্রস্তাবের নিরিখে এবার রাজ্য সরকার কোন পথে হাঁটে, সেটাই দেখার।