চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: টানা কয়েকদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটল আসানসোলে (Asansol)। শনিবার আসানসোল পুরনিগমের নতুন পুর প্রশাসক পদে এলেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) আর প্রশাসক পদে বসাল না রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। শনিবার নতুন প্রশাসকের নাম ঘোষণা করে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। দলত্যাগের পরও দলে ফিরে কার্যত ব্রাত্যই রয়ে গেলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এ নিয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।
অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী পুরবোর্ডের পুর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আসানসোল পুরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার থেকেই তিনি পুর প্রশাসক পদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। অমরবাবু এই দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁর ওয়ার্ডের অনুগামী, নেতা, কর্মীদের পাশাপাশি খুশি সাধারণ মানুষজনও। তাঁদের অনেকের মতে, দেরিতে হলেও এতদিনে এক যোগ্য ব্যক্তিকে পুরনিগমের শীর্ষ পদে বসানো হল। অর্থাৎ, জিতেন্দ্র তিওয়ারির যোগ্যতা নিয়ে সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যেই যে প্রশ্ন ছিল, তা স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: ‘মমতাদিদি কিছুই করবেন না’, কাটোয়ার কৃষকসভায় স্পষ্ট বাংলায় কটাক্ষ নাড্ডার]
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর আসানসোল পুরনিগমের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। ১৫ অক্টোবর পুর প্রশাসক পদে বসানো হয় প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। যে পুর প্রশাসক বোর্ড তৈরি হয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর পুরপ্রশাসক পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি-সহ দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ঠিক দু’দিন পরেই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দলের কাজেও যোগ দেন।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও স্থানীয়দের]
তবে আসানসোল পুরনিগমের (Asansol Municipal Corporation) পুরপ্রশাসক ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আর ফেরাল না তৃণমূল। এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল। পুর প্রশাসক পদে বসার জন্য অন্যদের সঙ্গে বড় দাবিদার ছিলেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। শেষপর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ পরে তাকেই সেই পদে বসানো হল। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর জিতেন্দ্র প্রসঙ্গ এড়িয়ে অমরবাবুর প্রতিক্রিয়া, ”দল ও সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব।”