স্টাফ রিপোর্টার: এবার পঞ্চম শ্রেণিকেও প্রাথমিকের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। এনিয়ে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় শুক্রবার হলফনামা দিয়ে হাই কোর্টে জানাল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। জয়মাল্য বাগচী এবং গৌরাঙ্গ কান্থের ডিভিশন বেঞ্চে স্কুল শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় সম্পূর্ণ করা হবে এই প্রক্রিয়া
২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পাস ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি, মোহিত করাতি, হাফিজুর রহমান, সুভাষচন্দ্র বাগরা এনিয়ে হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করে ছাত্র-শিক্ষক সঠিক অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সেসময়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে বিবেচনা করতে প্রধান বিচাপতির কাছে পাঠান।
[আরও পড়ুন: গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না, অবশেষে পুলিশের জালে সোনারপুরের ‘ত্রাস’ জামালউদ্দিন]
পরবর্তী কালে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং গৌরাঙ্গ কান্থের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, সব প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি কোন সময়ের মধ্যে যুক্ত করা হবে, তার রিপোর্ট হলফনামা হিসাবে জমা করতে হবে। এদিন আদালতে তথ্য-সহ হলফনামা দিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, প্রথম দফায় ২৩৩৫ টি স্কুল, দ্বিতীয় দফায় ১৭৭৫ টি স্কুল, তৃতীয় দফায় ২৯৬৬ টি স্কুল, চতুর্থ দফায় ১২ হাজার স্কুল এবং পঞ্চম দফায় ১৩০৯৩ টি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি প্রাথমিকের আওতায় আনা হবে। ২০২৯ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় প্রাথমিক স্তরে পর্যাপ্ত শিক্ষকও নিয়োগ করা হবে। পরিকাঠামোগত দিক থেকেও স্কুলগুলোকে উন্নয়ন করা হবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চমের স্থান এখনও উচ্চ-প্রাথমিকেই রয়েছে। কেন্দ্র ও অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে এবার সক্রিয় হয়েছে রাজ্য।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার। শিক্ষকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজার। পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্কুলের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে আরও ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সেই জন্যই জুলাইয়ে ডিআই-দের বলা হয়েছিল, প্রাথমিকে পঠনপাঠনের নতুন বিন্যাসের জন্য কোথায় কী কী প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করা হোক। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ওই কমিটিতে জেলাশাসক-সহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের যুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে।