সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে পরিস্থিতি কেমন, তার উপরই নির্ভর করবে ভারত-চিন সম্পর্কের অভিমুখ। বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। লাদাখ সীমান্তে চলা উত্তেজনার আবহে তাঁর এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সোমবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে জয়শংকর বলেন, “বর্তমান অবস্থা সকলের জানা। সীমান্তে পরিস্থিতি কেমন, তার উপরই নির্ভর করবে ভারত-চিন সম্পর্কের অভিমুখ। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ ও স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও স্বার্থের প্রয়োজন।” শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “এশিয়া মহাদেশের ভবিষ্যৎ অনেকটাই ভারত-চিন সম্পর্কের উপর নির্ভর করছে। অনেকেই এশিয়াকে বিভক্ত করতে চাইছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোয়াডের মতো জোটের প্রাসঙ্গিকতা তাদের উদ্বিগ্ন করছে।”
[আরও পড়ুন: এবার ফিলিপিন্সের হাতে আসছে ব্রহ্মস মিসাইল, চিনকে চাপে রাখতে দাঁও ভারতের]
‘এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইন্সটিটিউট’-এর অনুষ্ঠানে ভারত-চিন সম্পর্কের পাশাপাশি একাধিক বিষয়ে কথা বলেন জয়শংকর (Jaishankar)। এদিন রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংঘাত সমাধানের মতো বিষয় নয়ে মতপ্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তবে বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখ নিয়ে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন ভারত। লাদাখ সীমান্তে ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে’ এটা বেজিংয়ের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে লাদাখের গালওয়ান (Galwan) উপত্যকার রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্ত, দেপসাং উপত্যাকা-সহ কয়েকটি এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরখার (LAC) পেরিয়ে আসা লালফৌজ এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দফায় দফায় চলছে দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকও। টানাপড়েনের এই আবহে জয়শংকরের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।