শুভঙ্কর বসু: রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের তত্বাবধানে ভালভাবেই মিটেছে কলকাতার পুরভোট (KMC Election)। ভোট এবং ভোটের ফলপ্রকাশের দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাই আগামী ২২ তারিখ চার পুরনিগমের ভোটের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের উপরেই দেওয়া হল। বুধবার নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন কমিশনের কর্তারা। আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, বিধাননগর – এই চার পুরসভার ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। প্রতিটি বুথে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ।
চার পুরনিগমের ভোট সুষ্ঠু করতে মোট ৫ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। বুধবার দুপুরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মূলত কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ভোট প্রচারে স্বাস্থ্যবিধি মানে হচ্ছে নাকি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষকদের দিক নির্দেশ করার কথা। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে আলোচনায় বসেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের। সেখানেই রাজ্য পুলিশের (State Police) তত্বাবধানে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পডুন: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক রাজ্য, জনস্বার্থ মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হু হু করে প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আনা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে কমিশন। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভিন রাজ্য থেকে এখানে এসেছিলেন ভোটের ডিউটি করতে। কিন্তু পরে দেখা যায়, তাঁদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এবার সেই ঝুঁকি এড়াতে ভিন রাজ্য থেকে নিরাপত্তারপক্ষীদের ভোটের কাজে আনার পক্ষপাতী নয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের উপরই তাই ভরসা রাখা হচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর, কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং ভোটারদের ভয় কাটাতে প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।