নব্যেন্দু হাজরা, কলকাতা: শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া যানের নজরদারি চালাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার। জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কে নজরদারিতে ইন্টারসেপ্টর গাড়ি নামাল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর (State Transport Department)। প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি গাড়ি কেনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই পথ নিরাপত্তা বাড়াতে রাজ্যগুলোকে গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অত্যাধুনিক এই গাড়ির কথাও উল্লেখ রয়েছে। একাধিক রাজ্য ইন্টারসেপ্টর গাড়ির ব্যবহার শুরু করেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও তা শুরু হচ্ছে।
ইন্টারসেপ্টর গাড়ির সাহায্য়ে পথচলতি গাড়ির চালক বা যাত্রী সিটবেল্ট বেঁধেছেন কিনা, গাড়ি নির্দিষ্ট গতির উর্দ্ধে চলছে কি না সবকিছুতে গাড়িতে বসেই নজর চালাতে পারবেন ইন্সপেক্টররা। কোনও গাড়ি দাঁড় করিয়ে যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে না। গাড়িগুলোতে রয়েছে এমপিআর ক্যামেরা। যার সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অন্য গাড়ির নম্বর থেকে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক। যার ফলে প্রয়োজন পড়লে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন কর্তারা।
[আরও পড়ুন: ভোট আবহে জলপাইগুড়িতে চিতা-আতঙ্ক, গুটিয়ে কেঁচো কেন্দ্রের রাইফেলধারী জওয়ানরাও!]
বুধবার কসবায় গাড়িগুলির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী(Snehasis Chakraborty)। তিনি বলেন, “কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল, শিলিগুড়ি-সহ গুরুত্বপূর্ণ জেলায় এই গাড়িগুলো ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে। রাজ্যে প্রথম এই ধরনের গাড়ি নামানো হল। গাড়িতে থাকবে এমপিআর ক্যামেরা। রাস্তায় চলা গাড়ির যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। যদি সেই গাড়ির কোনও সমস্যা থাকে তাহলে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারবেন। তাছাড়াও ইন্টারসেপ্টরে গাড়িতে লাগানো থাকবে স্পিড লেজার গান, দূষণ মাপার যন্ত্র-সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।”
[আরও পড়ুন: স্কুলের সামনে মদের দোকান! মালদহে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ]
পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রে ৭৬, উত্তরপ্রদেশ ও কেরলেও ৫০টির বেশি এই গাড়ি রয়েছে। বে-আইনি গাড়ি ধরপাকড় করতে এই গাড়ির কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত। একটি গাড়ির দাম ২২ লক্ষ টাকা। আধিকারিকদের কথায়, রাস্তায় চলা গাড়িগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলছে কিনা তার যাবতীয় খুঁটিনাটি এই গাড়ি ধরে ফেলবে। এই গাড়ির ব্যবহারে এনফোর্সমেন্ট থেকে জরিমানা-বাবদ আয় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।