সুকুমার সরকার, ঢাকা: পদ্মা সেতু ঘিরে চলছে ষড়যন্ত্র। তাই উদ্বোধনের দিন নেতাকর্মীদের সাবধানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মনে করা হচ্ছে, পদ্মা সেতুতে নাশকতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তাই গোড়া থেকেই বহুকাঙ্খিত সেতুটির নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
২৫ জুন ঢাকার কাছে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের পর পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতু পার হয়ে জাজিরাপ্রান্তে গিয়ে নামফলক উদ্বোধন করবেন তিনি। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মা সেতু (Padma Bridge) উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রতিনিধির মতবিনিময় সভায় একত্রিত হন। সেখানে এসএমএসে বার্তা পাঠান হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পড়ে শোনান শাসকদল আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য একটি মেসেজ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই যেন সাবধানে চলাফেরা করে। গাড়ি যেন ওভারটেক না করে। ভলান্টিয়াররা সক্রিয় থাকবে। ষড়যন্ত্র তো আছেই। যে কোনও দুর্ঘটনা আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। সাবধানে থাকতে হবে।”
[আরও পড়ুন: নজরে সন্ত্রাসবাদ, যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল ভারত-বাংলাদেশ]
উল্লেখ্য, আগেও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে নাশকতার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শাসকদল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন এই সেতুটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প বলেই মত বিশ্লেষকদের। দুই স্তর বিশিষ্ট ষ্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির (truss bridge) ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্পান বসেছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু।