গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: রক্ষকই ভক্ষক! কিশোরী মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে । এমন অভিযোগে তোলপাড় বাদুড়িয়া (Baduria)। মেয়ের উপর এমন অত্যাচার হতে দেখে চুপ করে থাকতে পারেনি মা। মেয়ের উপর হওয়া অত্যাচারের অভিযোগ নিজেই জানালেন পুলিশকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মান্নান মল্লিক (৪০) বাদুড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় চাষবাস ও ব্যবসা করেন। অভিযুক্তের দুই বিয়ে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর দুই মেয়ে। একটি মেয়ের বয়স ১৫ বছর, অন্যটির বয়স ১২। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা হচ্ছিল না তার। তাই দু-তিন বছর আগে থেকেই বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। সেই থেকেই দুই মেয়ে মান্নানের কাছে থাকত। মাঝেমধ্যে মেয়েদের দেখতে আসতেন তাদের মা। মাঝে মাঝে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন মহিলা। কিন্তু সেখান থেকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। এভাবেই চলতে দিন।
[আরও পড়ুন: রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত Mamata Banerjee, একই মঞ্চে থাকবেন জার্মান চ্যান্সেলরও]
চলতি সপ্তাহে দুই মেয়েকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন মান্নানের স্ত্রী। বরাবরই ছটফটে বড় মেয়েকে হঠাৎ চুপ করে যেতে দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। ঘরবন্দি অবস্থায় মেয়ে কি মানসিক অবসাদে ভুগছে, তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে মায়ের মনে। মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেই হতবাক মা। ১৫ বছরের কুমারী মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা! মেয়েকে চেপে ধরতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে মেয়ে। তারপর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে সব ক্ষোভ উগরে দেয় মায়ের কাছে। যা শুনে আর চুপ থাকতে পারেনি মা।
স্বামীর শাস্তির দাবিতে বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত মান্নানকে তার আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারর করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে দু-দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। দোষ প্রমাণ হলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনীল সাউ জানান, “বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ।”