অর্ণব আইচ: ফের কলকাতায় উদ্ধার গুলি, বন্দুক এবং নগদ টাকা। গ্রেপ্তার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। শুক্রবার সকালে এপিসি রোড এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতকে শুক্রবার আদালতে তোলার কথা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম জয় ওরফে মানিক চৌধুরী। আলিপুরের বাসিন্দা সে। এদিন জয়কে এপিসি রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে মোট ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল এবং একটি দেশি পিস্তল। এছাড়া ধৃতের কাছ থেকে ১০০ রাউন্ড গুলিও পাওয়া গিয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪৮৯ বি এবং ৪৮৯ সি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধীরা জীবদ্দশায় ধরা পড়বে বলে মনে হয় না’, আক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এর আগে গত মাসে সিঁথির মোড়ে কাছে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিহার থেকে কলকাতায় মারাত্মক অস্ত্র পাচার চক্রের মাথারা। কলকাতায় মারাত্মক অস্ত্র কার্বাইন পাচার করছিল ওই চক্রটি। একই সঙ্গে পাচার হয় আরও আগ্নেয়াস্ত্র। উত্তর কলকাতার সিঁথি থেকে মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে আব্বু ও মহম্মদ শাহিল মল্লিক বিহারের মুঙ্গেরের অস্ত্র পাচারকারী। সম্পর্কে ইমতিয়াজ শাহিলের বাবা। বাকি দু’জনের মধ্যে ভিকি প্রসাদ দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর ও ইন্দ্রজিৎ শর্মা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। তারা কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অস্ত্র পাচারকারী তথা এজেন্ট বলে অভিযোগ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি মুঙ্গের মেড স্বয়ংক্রিয় রাইফেল কার্বাইন, যার দু’টি ম্যাগাজিন রয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয় দশটি অসমাপ্ত পিস্তল। পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একশোটি পাঁচশো টাকা, অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকার জাল নোট।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতায় উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র। সেগুলি কোথাও পাচারের ছক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্রও রয়েছে বলেই জানায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।