অর্ণব দাস, বারাসত: দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ এলাকায় বেআইনি বাজি কারবারের অন্যতম পাণ্ডা মহম্মদ নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর তাকে দমদম বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক আটদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিনই মোচপোল গ্রামের বিস্ফোরণস্থল এবং সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশিও চালায় পুলিশ।
শুক্রবারের সংগৃহীত ফুটেজ বড় পর্দায় নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হবে। ধ্বংসস্তূপে যে জায়গাগুলিতে এখনও তল্লাশি চালানো যায়নি সেই স্থানের ফুটেজ জুম করে খুঁটিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, দত্তপুকুর থানার মোচপোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নয়জনের মৃত্যুর পর বেআইনি বাজি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সেই অভিযানে বারাসত থানার আক্রমপুরের বাসিন্দা মহম্মদ নজরুল ইসলামের বাড়ি-সহ গোডাউনে তল্লাশি চালানো নয়। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বেআইনি বাজি। যদিও সেদিন নজরুলের হদিশ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ‘উনি অতি বিজেপি, সুপ্ত বাসনা রাজ্যপাল হওয়া’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা অনুপমের]
তারপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ আমডাঙা এবং সাজিরহাট এলাকায় পাঁচটি লরি ভরতি বাজি উদ্ধার করে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নজরুল ইসলাম বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে চেন্নাইয়ে চম্পদ দিয়েছিল। একইসঙ্গে তার বিভিন্ন গোডাউনে মজুত থাকা বাজিও সে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। পাঁচটি লরিতে উদ্ধার হওয়া বাজিও ওই নজরুলের। এরপর গোপন সূত্রে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধের পর বিমানবন্দরের বাইরে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেলে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ-সহ একাধিক দাবিতে বারাসতে আরিফবাড়ি থেকে জেলাশাসকের দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করে আইএসএফ। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেওয়া-সহ আইএসএফের তরফে একটি সভাও করা হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “তদন্ত সঠিক হলে তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতার নাম জড়াবে। তবে পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ সুপারকে সরিয়ে এই তদন্ত করতে হবে।”