সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে দেশবাসীকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বার্তা দিয়েছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার জেরে মাত্র একদিনে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীর। এই ঘটনায় এবার খোদ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির কাছে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।
সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি লিখে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে স্পষ্ট জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে বিনিয়োগের বার্তা দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের সেই মন্তব্যের জেরে বাজারে কোনওরকম কারচুপি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩ ও ৪ জুন শেয়ার বাজারে যে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তার জেরে মোদি, শাহ কিংবা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কারও ফায়দা হয়েছে কিনা তার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
নির্বাচন উপলক্ষে দেশে আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকার সময়েই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনার রাখার। কারণ, তার পর থেকে ব্যাপকভাবে উপরে উঠবে বাজার। একই বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহও। সেই মতো এক্সিটপোলে মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলতেই নজিরবিহীনভাবে ২৫০০ পয়েন্ট উপরে ওঠে বাজার। ফলে ফল প্রকাশের পর একদিনে ৪৩৮৯ পয়েন্টের বেশি নিচে নামে সেনসেক্স। যার জেরে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের। এই ঘটনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ৫ জুন সেবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। এবার মোদি-শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানিয়ে দ্বিতীয় অভিযোগ করা হল তৃণমূলের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিযোগিতা মানেই যুদ্ধ নয়’, নয়া সরকারকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মোহন ভাগবতের]
উল্লেখ্য, এর আগে এই ইস্যুতে সরব হয়ে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। তিনি অভিযোগ করেন, এটা একটা বড়সড় কেলেঙ্কারি। তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, টাকার বিনিময়ে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে জয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। এবং তার মাধ্যমে বাজারের ওঠাপড়াকে কাজে লাগিয়েছে মুনাফা তোলা হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে সরাসরি সেবির কাছে অভিযোগ তৃণমূলের।