সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি কোচ আনা বন্ধ করুক ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের পরামর্শ এমনটাই। তবে তাঁর এহেন পরামর্শ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মেনে চলবে কিনা তার জবাব দেবে সময়।
ঘটনা হল, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বিদেশি কোচেদের পারফরম্যান্সে মোটেও সন্তুষ্ট নন ‘লিটল মাস্টার’। দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছে এবারের আইপিএলে। অথচ এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বিখ্যাত সব প্রাক্তন প্লেয়াররা কোচ হিসেবে ছিলেন। রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মুথাইয়া মুরলীধরন এবং ডেল স্টেইনের উপস্থিতি এই দুটো দলে থাকলেও মেগা টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করে উঠতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটো।
[আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে পছন্দের একাদশ বাছলেন শাস্ত্রী, দলে চার ভারতীয়]
৭৩ বছর বয়সি গাভাসকর বিদেশি কোচের পরিবর্তে দেশীয় কোচের দাবি তুলেছেন। কারণ হিসেবে সানি বলেছেন, ”ভারতীয় তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে ভাষাটা প্রতিবন্ধক হয়ে গিয়েছিল। বিদেশি কোচরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন, তা ভাষাগত সমস্যার জন্যই বুঝে উঠতে পারেনি দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা। ওরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে। ইংরেজি বুঝতে পারেনি ঠিকভাবে। এর প্রমাণ হল যশ ধূল, প্রিয়ম গর্গ এবং সরফরাজ খানের মতো ক্রিকেটাররা ব্যর্থ হয়েছে টুর্নামেন্টে।”
দেশীয় কোচের দাবিতে সরব গাভাসকর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কথা। পণ্ডিতের কোচিংয়ে এই মরশুমে রিঙ্কু সিং দারুণ সফল। গাভাসকর বলছেন, ”চান্দু পণ্ডিতের কোচিংয়ে রিঙ্কু কতটা সফল আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী এবং নীতীশ রানা ওর কোচিংয়ে ভালই খেলেছে। নিজেদের খেলায় উন্নতি ঘটিয়েছে।”
যে চারটি দল প্লে অফ খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করেছে, তাদের মধ্যে তিনটি দলেরই কোচ বিদেশি। গাভাসকর অবশ্য সেই ব্যাপারে আলোকপাত করতে পারেননি।