স্টাফ রিপোর্টার: শব্দবাজিই শুধু নয়, এবার আতশবাজির উপরও নজর থাকবে পুলিশের। বলা যাতে পারে, পুলিশের কাছে এ এক নতুন চ্যালেঞ্জ। যদিও কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, যেভাবে পুলিশ প্রত্যেক বছর শব্দবাজি দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেভাবেই রাত ৮টা থেকে ১০টার বাইরে কোনওভাবেই আতশবাজিও পোড়াতে দেওয়া হবে না। তাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পুলিশের বিশেষ নজর অলিগলি ও বহুতলের ছাদের দিকে। শহরের বহুতলগুলির ছাদে যাতে রাত দশটার পর আতশবাজি কেউ না ফাটান, তার জন্য যেমন বেশ কিছু বহুতলের ছাদকেই ‘ওয়াচ টাওয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করবে পুলিশ, তেমনি শহরের অলিগলি ও অপরিসর রাস্তায় বাইক ও অটো করে চলবে টহলদারি। পুলিশের নিজস্ব বাইক বাহিনী তো রয়েছেই, দু’দিনের জন্য ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অটোও।
[অমিল জবা, শ্যামা পুজোয় ভরসা প্লাস্টিকের ফুল]
শহরের কুড়িটিরও বেশি পুজো মণ্ডপে কালী প্রতিমার গায়ে থাকছে মূল্যবান সোনা ও রুপোর গয়না। পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কিছু বাজার ও দোকানে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও বাজি বিক্রি হয়। নুঙ্গি ও চম্পাহাটির বিভিন্ন বাজি কারখানা থেকে বাজি নিয়ে এসে তাঁরা কালীপুজো ও দীপাবলিতে ডালা সাজিয়ে বিক্রি করেন। কিন্তু এই বছর সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ, লাইসেন্স ছাড়া বাজি বিক্রি করা যাবে না। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, শহরের প্রত্যেক বাজি বিক্রেতার লাইসেন্স পরীক্ষা করা হবে। যাঁদের কাছে লাইসেন্স নেই, তাঁদের বাজি বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। সেই কারণে পুলিশ তল্লাশিও চালাবে। বেআইনিভাবে কোনও গুদামে বাজি মজুত করে রাখা আছে কি না, সেই বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।
[ আলোর উৎসবে ‘শব্দদৈত্যের’ আতঙ্ক, প্রতিবাদে পথে সারমেয়রা]
The post এবছর নজর আতশবাজিতেও, শহরের বহুতলে পুলিশের ‘ওয়াচ টাওয়ার’ appeared first on Sangbad Pratidin.