অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পিছু হঠলেন বিনয় তামাং-বিমল গুরুংরা। ধর্মঘটের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখল তারা। বৃহস্পতিবার বন্ধ হচ্ছে না পাহাড়ে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন অজয় এডওয়ার্ড। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও সমালোচকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই নিজেদের অবস্থান বদল করলেন গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা।
সোমবারই বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এই প্রস্তাবে গোর্খাদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে পাহাড়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা। অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন বিমল গুরুংও। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে ৬ বছর পর পাহাড়ে ডাকা হয় বন্ধ। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিলেন গোর্খাল্যান্ডপন্থীরা।
[আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফ্টের নামে মার্কিন নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ, জোড়া অভিযানে কলকাতায় ধৃত ১৬]
এরপর বুধবার জিটিএ-র ৯ সদস্য জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিনয় তামাংয়ের দাবি,”আমরা বন্ধ ডাকিনি। মানুষের কাছে বন্ধ পালনের আবেদন করেছিলাম। তাও স্কুল-সহ জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দিয়েছিলাম। কারণ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা রণনীতি ঠিক করব। তাই আপাতত বন্ধ স্থগিত রাখছি, বাতিল করছি না।” একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “বিধানসভায় আমাদের শরনার্থী, অনুপ্রবেশকারী বলা হয়েছে। আমাদের অপমান হয়েছে। মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো সংবিধান মেনেই এই আন্দোলন আরও উগ্র হবে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির অনুষ্ঠান থেকে বঙ্গভঙ্গ ও বন্ধের বিরোধিতায় গর্জে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা,”কেউ যদি মনে করে, বন্ধ করে ক্ষমতা দেখাবে, তাহলে আমি পরিস্কার বলে যাচ্ছি, কোনও বন্ধ হবে না।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, “কোনও বঙ্গভঙ্গ হবে না। যারা ভঙ্গের চেষ্টা করবে তাঁদের মোহভঙ্গ হবে। অশান্তি আমি হতে দেব না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ।” এরপরই বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তারা।