সুব্রত বিশ্বাস: ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার ‘শাস্তি’! বেধড়ক মারধর করা হল সহপাঠীকে। এমনকী ছাত্রীদেরও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তদের ধরতে শেষে পুলিশকে ছদ্মবেশ ধরতে হয়। অবশেষে দুই যুবককে ধরতে পারলেও বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে।
হাওড়ার রেল পুলিশের সুপার পঙ্কজকুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ঘটনার পরই বেলুড় রেল পুলিশ তৎপর হওয়ায় দু’জন অভিযুক্ত ধরা পড়ে। বাকিদের সন্ধান চলছে। অভিযুক্ত নারায়ণ দাসকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও পলাতক বিক্রম পাত্রকে ধরতে বেলুড় রেল পুলিশের ওসি প্রীতম দাসকে ছদ্মবেশ নিতে হয়। সোমবার সেও ধরা পড়ে।
[আরও পড়ুন: কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পেরতে গিয়েই বিপত্তি, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত যুবক]
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে বালি জয়পুরের বাসিন্দা বিশাল মণ্ডল তার দুই সহপাঠী ছাত্রীর সঙ্গে বালিঘাট স্টেশনে নেমে উত্তরপাড়া কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীদের ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরা সে সময় বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। বিকেলে ফেরার পথে আবারও একই রকমভাবে কটুক্তি উড়ে আসে। এরপর ছাত্রীদের পক্ষে প্রতিবাদ করেন সহপাঠী বিশাল। আর তাতেই শুরু হয় হাতাহাতি।
এরপর কলেজের ছাত্র সংসদের কয়েকজনের হস্তক্ষেপে সে সময় বিষয়টা মিটে যায়। দুই ছাত্রীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার জন্য ফের বালিঘাট স্টেশনে ওঠে বিশাল। তখনই অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে স্টেশনে চড়াও হয়। বিশালকে মারধরের পাশাপাশি ছুরি মারার চেষ্টা করে বলে সে লিখিত অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছে। ছাত্রীরা সহপাঠীকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীদের একজনের ফোনও কেড়ে নেয় বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ছাত্রের বাবা শংকর মণ্ডল বলেন, “ছেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। ফের কীভাবে কলেজে যাবে, তা ভেবেই আমরা আতঙ্কিত।” অভিযুক্তরা বালিঘাট স্টেশনের আশপাশের বস্তিতে থাকে। শ্রমিকের কাজ করে। ফলে ছেলের বাবার আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছে কলেজ ইউনিয়নের অনেকেই।