shono
Advertisement

‘বাবা-মা কেউ ভালবাসে না’, স্কুলের ‘মনের কথা’য় রাশি-রাশি মেঘ খুদেদের

খুদেদের কথা শুনে বিস্মিত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Posted: 05:03 PM Feb 16, 2023Updated: 05:38 PM Feb 16, 2023

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ছোটদের মনের কোণে মেঘ জমেছে! অভিমান জমেছে চোখের কোনে। বাবা-মা, পরিবারের প্রতি সেই রাশি-রাশি অভিযোগ জমা পড়েছিল ‘মনের কথা’য়। কী এই মনের কথা?

Advertisement

খুদেদের মনের কথা জানতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছিল রায়দিঘির বকুলতলা প্রাইমারি স্কুল। ছাত্রছাত্রীরা তাদের ‘মনের কথা’ চিরকুটে লিখে জমা করেছিল স্কুলেরই ড্রপবক্সে। ছোট্ট ছোট্ট চিরকুটে কাঁচা হাতের লেখায় কেউ লিখেছিল, ‘আমি পেনসিল বক্স চেয়েছিলাম, বাবা গরিব বলে কিনে দিতে পারেনি।’ কেউ লিখেছে, ‘বাবা-মা কেউ আমায় ভালবাসে না।’ কেউ লিখেছে, “আমি নাচ শিখতে চাই। কিন্তু বাবা চায় না।” ড্রপবক্স খুলে মর্মস্পর্শী সে সব অভিযোগ জানার পরই অবাক হয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বয়ং প্রধান শিক্ষক।

[আরও পড়ুন: প্রয়াত কিংবদন্তি তুলসীদাস বলরাম, ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন]

এই উদ্যোগের কথা শুনে বুধবার বকুলতলা প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শনে আসেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও। ‘শিশুদের মাঝে শিশুদের সাথে’ অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের হাতে উপহারস্বরূপ পেনসিল বক্স, রঙিন বেলুন-সহ বেশকিছু সামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার। আগামিদিনে যে কোনও পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “শিশুমনের বিকাশের এটাই বয়স। শিশুদের মানসিক বিকাশের দরকার। তারা খুশি থাকলে বুদ্ধির বিকাশও হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে। শৃঙ্খলাপরায়ণ হবে ছাত্ররা।”

প্রধানশিক্ষক নীতিনকুমার সামন্ত বলেন, “ছোট্ট একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল স্কুলের পক্ষ থেকে। তার যে এমন সুন্দর প্রতিক্রিয়া হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। খুব খুশি। আমার ও স্কুলের শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেল।” এবার থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে আলোচনার জন্য মাসে একবার করে অভিভাবকদের সঙ্গে বসা হবে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী তাদের মনের কথা জানিয়ে চিরকূট লিখেছিল তাদের প্রত্যেকের কাউন্সেলিং করা হয়েছে। এক খুদে ছাত্র পেনসিল বক্স চেয়েছিল। তাকে পেনসিল বক্স কিনে দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘অনেকদিন হয়েছে!’, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিতে ক্ষুব্ধ বিচারক, ফের জেল হেফাজতে পার্থ]

সম্প্রতি মিড ডে মিল প্রকল্প খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে এসেছিল। তাদের নির্দেশ ছিল, শিশুরা নিজেদের সম্পর্কে কী বলছে সে কথা জানতে স্কুলে ড্রপবক্স রাখতে হবে। সেই ড্রপ বক্সে ছোট ছোট শিশুদের মর্মস্পর্শী অভিযোগ পড়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল প্রধান শিক্ষকেরও।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার