সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের বিরুদ্ধে পোস্ট করেছে ফেসবুকে। কেবলমাত্র এই সন্দেহের বশে সাংবাদিকতার এক ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে আরও এক ছাত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
[সব কিছুতেই যদি নারীর সমান অধিকার থাকে, শাস্তির ক্ষেত্রে কেন নয়?]
মৃত ছাত্রের নাম মশাল খান। পাকিস্তানের আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাঁর বন্ধু আবদুল্লা। পাক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একদল তরুণ হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ে। প্রথমে আবদুল্লাকে পাকড়াও করে তারা। তাঁকে মাটিতে ফেলে বেদম প্রহার করতে থাকে।
[বৃহত্তম নন-নিউক্লিয়ার মার্কিন বোমায় নিকেশ অন্তত ৩৬ আইএস জঙ্গি]
মারের চোটে আবদুল্লা জ্ঞান হারালে দুষ্কৃতীরা হস্টেলের ভিতরে যায় মশালের খোঁজে। প্রথমে তাঁকে কোরান জোরে জোরে পড়তে বলা হয়। তা পড়তে মশাল অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে উত্তেজিত জনতা। লাথি-চড়-ঘুষি কিছুই বাদ ছিল না। সবশেষে গুলি মারা হয় মশালের বুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সংবাদিকতার ছাত্র। পুলিশ এসে আবদুল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
[মার্কিন সেনাই সর্বশক্তিমান, আফগানিস্তানে ‘মাদার অফ অল বম্বস’ ফেলে হুঙ্কার ট্রাম্পের]
হস্টেল সুপার মহম্মদ আলির চোখের সামনেই পুরো ঘটনা ঘটে। এখনও সেই ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। জানান, অন্তত তিন থেকে চার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কোনও পোস্টের জন্য মশাল-আবদুল্লার এই মর্মান্তিক পরিণতি হল। সেই পোস্টটি তাঁদেরই করা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজছে পাক পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নামও জানার চেষ্টা করছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পুলিশ।
[প্রাক্তন সেনা অফিসারকে অপহরণ করছে ভারত, অভিযোগে সরব পাকিস্তান]
The post ধর্মকে অপমান! ফেসবুক পোস্টের জেরে পিটিয়ে খুন যুবককে appeared first on Sangbad Pratidin.