রমেন দাস: ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। এবার অনশনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relationship) বিভাগের পড়ুয়ারা। স্বচ্ছভাবে গবেষণার মেধাতালিকা প্রকাশের দাবি অনশনরত গবেষকদের। এদিন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কাছে স্নাতক স্তরের আর্টস (Arts) বিল্ডিংয়ের সামনে অনশনে বসেন দেবস্মিতা চৌধুরী, রাজর্ষি চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ বৈদ্য নামের তিন গবেষক।
অনশনরত রাজর্ষি চক্রবর্তীর দাবি, “বহুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগের গবেষণা অর্থাৎ পিএইচডি-র (PhD) মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও আমাদের বিভাগে প্রকাশিত হয়নি। বহু স্কলার সমস্যায় পড়েছেন। এক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। বারবার বলেও বিভাগীয় প্রধান চুপ! তার প্রতিবাদেই আমরা সরব হয়েছি।”
[আরও পড়ুন: নতুন করে ভাবতে শেখাবে শিল্প, প্রথমবার অনন্য আর্ট পারফরম্যান্সের সাক্ষী হবে কলকাতা]
প্রায় একই সুর বিশ্বরূপ, দেবস্মিতার গলায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, পিএইচডি মেধাতালিকা নিয়ে বহুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছে। সূত্রের দাবি, নির্দিষ্ট একটি দলের ছাত্র সংগঠনের এক নেতার সুযোগ পাওয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। এর পরেই তালিকা প্রকাশ নিয়ে সমস্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বিভাগের অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, বিভাগীয় প্রধান সচেষ্ট হননি বলেই তালিকা প্রকাশ নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। অনশনরত পড়ুয়াদের পক্ষেও দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপকদের কেউ কেউ। যদিও ওই বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ীর দাবি, “গবেষণায় ভর্তি বা মেধাতালিকার কমিটিতে সমস্ত বিভাগের প্রধানরা থাকেন। ছাত্ররা যেমন দাবি করছেন, আমরাও একই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যাতে শীঘ্রই শুধুমাত্র মেধার উপর ভিত্তি করে তালিকা প্রকাশ হয়। এখানে কোনওভাবেই রাজনীতি, কে কোন দল করেন, এই প্রশ্নও আসা অনুচিত।”
[আরও পড়ুন: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা! রাজ্যবাসীকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ মমতার]
এদিন অনশনরত ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন। অধ্যাপক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে’ জানান, “আমি কথা বলেছি ওদের সঙ্গে। আমাদের ছাত্ররা-গবেষকরা অনশন করবে এটা তো মোটেও ভালো কথা নয়। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা যায়।” এই প্রসঙ্গে জানতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (IR) বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বিজয়কুমার দাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।