সুব্রত বিশ্বাস: মঙ্গলবার থেকে খুলছে স্কুল ও কলেজ। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের যেতে হবে স্কুলে। প্রায় কুড়ি মাস বাদে শিক্ষাক্ষেত্রে যেতে পড়ুয়াদের ট্রেনে (Local Train) টিকিট কাটতে হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, লকডাউনের সময় থেকে রেলে বিভিন্ন ধরনের কনসেশন বা ছাড় বন্ধ করা হয়েছে। সেই কোপ এবার পড়ুয়াদের (Students) রেলে ফ্রি পাসে (Free Pass) পড়েছে কি? তাঁরা কি আর রেলের ফ্রি পাস পাবেন?
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা যে পদ্ধতিতে ফ্রি পাস পেতেন, এবারও সেই একই পদ্ধতিতে ফ্রি পাস পাবেন। এ প্রসঙ্গে হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানান, আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষরা রেলের কাছে পাসের জন্য আবেদন করতেন। রেল সেই মতো ফর্ম দিত, যা নিয়ে পড়ুয়ারা স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে এসে ফ্রি পাস নিতেন। স্কুল ও কলেজের সেই ফর্ম শেষ হলে পুনরায় আবেদন করে আবার তা সংগ্রহ করত কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে জঙ্গি হামলায় শহিদের দেহ ফিরল মুর্শিদাবাদের গ্রামে, গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা]
লকডাউনের আগে দেওয়া ফর্ম থাকলে স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ তা পড়ুয়াদের দিতে পারেন। শেষ হলে কাউন্টার পার্ট জমা দিয়ে ফের ফর্ম নিতে হবে তাঁদের। প্রতিটি স্কুল, কলেজ এই সুবিধা পায়। কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ গৌতম কুণ্ডু জনান, ফ্রি পাসের কনসেশনের ফর্ম কতটা এখনও পড়ে আছে তা দেখতে হবে। রাজ্যের নির্দেশাবলিতে বলা হয়েছে, যেসব পড়ুয়া রেলে যাতায়াত করে, পাস দরকার তাদের ফ্রি পাসের জন্য স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত আবেদনের প্রতিলিপি দেবে। যা দেখিয়ে রেলের থেকে ফ্রি পাস নিতে পারবে পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, আইনি জট কাটায় নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই খুলছে স্কুল। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি স্কুলে স্যানিটাইজেশনের কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।