সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কি করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া নিরাপদ? এতে সদ্যোজাতদের শরীরেই বা কী প্রভাব পড়বে? এ প্রশ্ন অনেকেই মনেই জেগেছে। এবার নতুন একটি গবেষণায় মিলল এর উত্তর। জানানো হল, গর্ভবতীদের জন্য ভ্যাকসিন কতখানি সুরক্ষিত।
দেশজুড়ে নতুন করে বাড়ছে করোনার (Corona Virus) প্রকোপ। তারই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে চলছে টিকাকরণও। এপ্রিল থেকে ভারতে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকেই করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তবে শুধু ভারতেই নয়, বিভিন্ন দেশেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আর তারই মধ্যে উঠে এল নতুন তথ্য। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ডের হাসপাতালের গবেষকরা জানাচ্ছেন, করোনা ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে দ্রুত বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যা এই মারণ ভাইরাসকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, জন্মের পর স্তন্যপানের মধ্যে দিয়ে মায়ের শরীর থেকে রোগ প্রতিরোধের এই ক্ষমতা চলে যায় সন্তানের শরীরেও। তাই মা ও সন্তান উভয়ই এই ভ্যাকসিনে দারুণভাবে উপকৃত হবে বলেই জানাচ্ছে নতুন গবেষণা।
[আরও পড়ুন: শরীর থেকে জোর করে দোলের রং তোলা অত্যন্ত ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]
আমেরিকার একটি জার্নালে নয়া গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, একজন সাধারণ মহিলার শরীরে কোভিড ভ্যাকসিন যতখানি কার্যকরী, অন্তঋসত্ত্বার শরীরেও একই পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সন্তান ধারণে সক্ষম এমন ১৩১ জনের উপর এই পরীক্ষাটি করা হয়। যাঁদের মধ্যে ৮৪ জন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা, ৩১ জন সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং ১৬ জন গর্ভবতী ছিলেন না। প্রত্যেককে ফাইজার/বায়োএনটেক অথবা মোডার্না ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়েছিল। তিন ধরনের মহিলার শরীরেই একই পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সেভাবে নজরে পড়েনি। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিনে মা ও সন্তান যে করোনার থাবা থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন, তা বলাই যায়।
যদিও কোভ্যাক্সিন কিংবা কোভিশিল্ড ভাইরাস অন্তঃসত্ত্বাদের শরীরে একইরকম অ্যান্টিবডি তৈরি করে কি না, তা এই গবেষণায় জানা যায়নি। তবে ভারতে তৈরি এই ভ্যাকসিন যে সকলের জন্যই সুরক্ষিত ও তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তা আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল।