রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করে গুরু বলে সম্বোধন করার জের। আদালতের দ্বারস্থ হয়েও বাঁচল না পদ। অবশেষে পুরপ্রধানের পদ খোয়ানেন সুবল মান্না।
২ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতীকে জেতা ১৬ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে। অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়ার পর পুরআইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের মিটিং ডাকেননি সুবল মান্না। ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পর আইন মেনে অনাস্থা মিটিং ডাকেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। এর পরই দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না। হাই কোর্টে তিনি আইনজীবী মারফত জানান, বেআইনিভাবে তাঁকে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তাই সোমবার ভাইস চেয়ারম্যানের ডাকা অনাস্থা মিটিংয়ে স্থগিতাদেশের আর্জিও জানান। কিন্তু স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।
[আরও পড়ুন: কমোড লাগবেই! জেলে অদ্ভুত ‘আবদার’ শংকরের]
সোমবার কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরির আহ্বানে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর সকাল সাড়ে ১১ টায় অনাস্থা বৈঠকে সমবেত হন। সর্বসম্মতিক্রমে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হয় সুবল মান্নাকে। কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “আজ বিশেষ মিটিং ডাকা হয়েছিল। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। সকলের সিদ্ধান্তে কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানকে সরানো হয়েছে।”