সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বিজেপি নীরব কেন? এবার সরাসরি কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপিরই সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। তাঁর প্রশ্ন, বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে এই মৌনের কারণ কী? ভারত সরকার এখন কি বাংলাদেশকেও ভয় পাচ্ছে?
বস্তুত, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা তথা অসংখ্য হিন্দু পরিবারের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর সপ্তাহখানেক কেটে গিয়েছে। এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটখাট হিংসার খবর আসছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ হয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা সরব হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘও (UN) ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে তথাকথিত হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব একপ্রকার নীরব। বিজেপির বঙ্গ নেতারা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে টুকটাক প্রতিবাদ করলেও সর্বভারতীয় স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব একপ্রকার নীরব।
[আরও পড়ুন: নতুন দল গড়ার ঘোষণা অমরিন্দর সিংয়ের, গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন বিজেপির সঙ্গে!]
যা নিয়ে এবার দলের অন্দরেই কটাক্ষের শিকার হতে হল কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারকে। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়া সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলছেন,”বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের গণহত্যা হচ্ছে। এ নিয়ে বিজেপি প্রতিবাদ কেন করছে না? আমরা কি বাংলাদেশকেও ভয় পাচ্ছি? লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পর আফগানিস্তানে তালিবান আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা ওঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হচ্ছি। এরপর কি আমরা মালদ্বীপকেও ভয় পাব?” বস্তুত, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর আগেও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। তবে, বাংলাদেশের হিংসার মতো জ্বলন্ত ইস্যুতে এভাবে বিজেপি সাংসদের আক্রমণ সরকারের অস্বস্তি বাড়াবে।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন অমিত শাহ]
প্রসঙ্গত, ভারত সরকারও এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সেভাবে এই ঘটনার নিন্দা করতেও দেখা যায়নি ভারত সরকারের শীর্ষ কোনও আমলাকে। বিদেশমন্ত্রক (MEA) গত সপ্তাহে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “আমরা কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার খবর পাচ্ছি। তবে আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”