সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোম সফরের অনুমতি না দিয়ে এবার এক বিজেপি সাংসদেরই রোষের মুখে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) প্রশ্ন তুললেন, “কেন মমতার রোম সফরের অনুমতি দিল না বিদেশ মন্ত্রক? কোন আইনে তাঁকে বাধা দেওয়া হল?
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রোম (Rome) সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ইটালির এক সংস্থার আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ইটালির ওই অনুষ্ঠানে সব ধর্মের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। কায়রোর গ্রেট ইমাম থেকে খ্রিস্টান অর্থোডক্স চার্চের প্রধানও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। তাঁদেরই পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক (EAM) মমতাকে সেই সফরের অনুমতি দেয়নি। যুক্তি হিসেবে জানানো হয়েছে, যে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রিত হয়েছেন, তা ওই পদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কিন্তু কেন মমতার রোম সফর সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তা ব্যাখা করেনি কেন্দ্র। স্রেফ এক লাইনের একটি চিঠি লিখে মমতাকে রোম সফর থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে এভাবে আটকানো যাবে না’, রোমে যাওয়ার অনুমতি না পেয়ে তোপ মমতার]
ইতিমধ্যেই এই সফর বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র হিংসায় জ্বলছে। মুখেই শুধু হিন্দু হিন্দু করে বিজেপি (BJP)। ওখানে তো ইমাম, পোপও আমন্ত্রিত ছিলেন। একজন হিন্দু মহিলা হিসাবে আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম। আমাকে যেতে দিল না। মনে রাখবেন, আমাকে এভাবে আটকানো যাবে না।” মমতা প্রশ্ন তোলেন, “আমায় কেন যেতে দিলেন না। শান্তির কথা এলেই কেন এরকম করেন? এভাবে চলবে না। যেতে দিলে কিছু হত না। কিন্তু না যেতে দিয়ে খুব বেআইনি কাজ করলেন।”
[আরও পড়ুন: ভবানীপুরে যৌথ প্রচারে মমতা-অভিষেক, রবিবার হাইভোল্টেজ সভা পদ্মপুকুরে]
বস্তুত মমতার রোম সফরে বিদেশমন্ত্রকের আপত্তির বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছে রাজ্যের শাসকদল। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর চিন সফর, শিকাগো সফরও বাতিল হয়েছিল। এই দুইবারও বিদেশমন্ত্রক কোনও না কোনও যুক্তি দেখিয়ে সফরে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এবারও তেমনই হল। কিন্তু এবার এই সফর বাতিল ইস্যুতে নতুন রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সরাসরি নিজের সরকারকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন তিনি।