সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের উলটো সুর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলায়৷ যাদবপুর কাণ্ডে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকেই দায়ী করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ সাফ জানালেন, উপাচার্য সঠিক সময়ে পুলিশকে ডাকেননি৷ উনি পুলিশ ডাকলে, ঘটনাটা এতটা বাড়ত না৷
[ আরও পড়ুন: অসুস্থ যাদবপুরের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল ]
সুরঞ্জন দাসকে কাঠগড়ায় তুলে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি উপাচার্য৷ ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার অধিকার একমাত্র ওনার রয়েছে৷ উনি সঠিক সময়ে পুলিশ ডাকলে এতটা ঝামেলা বাড়ত না৷ আমাদের প্রশাসন তো সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পারেনি৷ এই ঘটনায় উনি কখনওই দায় এড়াতে পারেন না৷’’ এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবার যাদবপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য রাজ্যপাল ও বাবুল সুপ্রিয়কেও এক হাত নেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র ওখানে যাওয়া, ঘেরাও হওয়া এবং তাঁকে উদ্ধারে স্বয়ং রাজ্যপালের যাদবপুরে যাওয়া, সবটাই নাটক৷ চিত্রনাট্য আগে থেকেই তৈরি ছিল৷ পাশাপাশি, ঘটনায় জড়িত পড়ুয়াদের কঠোর শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷
দলের গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য পার্টি লাইনের উলটো সুরে কথা বলায়, স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল৷ তড়িঘড়ি ময়দানে নেমেছেন দলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা একদমই তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য, দলের নয়৷’’
[ আরও পড়ুন: সংগঠন চাঙ্গা করতে ফের রাজ্যে মোহন ভাগবত, যোগ দেবেন সমন্বয় বৈঠকে ]
এদিন দুপুরে অসুস্থ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও সহ-উপাচার্য প্রদীপ ঘোষকে দেখতে হাসপাতালে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বেরিয়ে এসে আবারও রাজ্যপালকে খোঁচা দেন তিনি৷ জানান, আশা করব আগামিদিনে রাজ্যপাল, তাঁর পদের গরিমা বজার রাখবেন৷ উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডে অসুস্থ উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের সঙ্গে শনিবার সকালেই দেখা করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল৷ প্রায় ১০ মিনিট একান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে কথা বলেন জগদীপ ধনকড়৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন৷ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন৷ বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র যাওয়াকে কেন্দ্র করে, অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই জট কাটানোরও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল৷ প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান জগদীপ ধনকড়৷