সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান্নার গ্যাসে ভরতুকি তুলে নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রতি মাসে ৪ টাকা করে সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হবে। এভাবে ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যে ভরতুকি প্রত্যাহার করতে চায় কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলিকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার লোকসভায় একথা জানান কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রের এই বেনজির সিদ্ধান্তে দেশের ১৮ কোটি এলপিজি গ্রাহকের ভরতুকির দিন এবার শেষ হয়ে এল।
[সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কমাল এসবিআই ]
জুলাইয়ের শেষ দিনে সেভিংসে সুদের হার কমানোর কথা ঘোষণা করে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআই। একই দিনে মধ্যবিত্তদের জন্য আরও এক দুঃসংবাদ। রান্নার গ্যাসে এবার ভরতুকি ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। প্রতি মাসে সিলিন্ডার পিছু বাড়তি চার টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে। এভাবে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ভরতুকি আর রাখবে না কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রলিয়াম এবং হিন্দুস্থান পেট্রলিয়ামকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভায় এদিন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, এ বছরের জুন মাস থেকে নতুন দাম যোগ করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে আগে সিলিন্ডার পিছু ২ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিলিন্ডার পিছু দাম দ্বিগুন বাড়ানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।
[বাড়ল আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা, শেষ দিন কবে?]
বর্তমান নিয়মে কোনও গ্রাহক বছরে ১২টি সিলিন্ডার ভরতুকিতে পান। তার বেশি চাইলে তাঁকে বাজার দরে কিনতে হয়। দিল্লিতে ভরতুকিযুক্ত ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৭৭ টাকা। ভরতুকি ছাড়া সিলিন্ডারের দাম ৫৬৪টাকা। কেন্দ্র এই ব্যবধান মুছে দিতে চাইছে। পাশাপাশি ৫ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারেও একইভাবে ভরতুকি উঠে যাবে। ১০ লক্ষ টাকার ওপর বার্ষিক রোজগার হলে ভরতুকি তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার ভরতুকি ছাঁটাইয়ের জন্য রোজগার আর মাপকাঠি থাকছে না। গত মার্চে কেন্দ্র জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনে প্রায় ৭ লক্ষ গ্রাহক ভরতুকি ছেড়ে দেন। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৮ কোটি ১১ লক্ষ গ্রাহক ভরতুকিযুক্ত সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। শুধু ভরতুকির জন্য মোটা টাকা কোষাগার থেকে বেরিয়ে যায়। এই যুক্তি দেখিয়ে ভরতুকির দরজা চিরতরে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কেন্দ্র সরকার।
The post মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, রান্নার গ্যাসে উঠে যাচ্ছে ভরতুকি appeared first on Sangbad Pratidin.