বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুতে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নানরা। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি করবে বাম-কংগ্রেস। সোমবার সাড়ে তিনটেয় এন্টালিতে দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে জমায়েত করবে ছাত্র-যুবরা।
চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তিলোত্তমা। বাম ছাত্র-যুবদের আটকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলকামানের পাশাপাশি কাদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। পুলিশের ‘অমানবিক’ আচরণে জখম হন বহু ছাত্র-যুব। প্রায় ৪০ জনকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বাঁকুড়ার মইদুল ইসলাম মিদ্দা। গুরুতর জখম অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বামশিবির। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নানরা।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই সমস্ত টোলপ্লাজায় বাধ্যতামূলক ফাসট্যাগ, বাংলার কী পরিস্থিতি? জানুন]
সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “স্বাভাবিক দাবি নিয়ে নবান্নে পৌঁছতে চেয়েছিল ছাত্ররা। সেই আন্দোলনে থাকা মইদুল ইসলাম মিদ্দাকে পুলিশ খুন করেছে। এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। নবান্ন আন্দোলনে শহিদ হলেন মইনুল। আর কত লাশ চাই সরকারের? এর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ চলবে।” আবদুল মান্নানের কথায়, ”এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। সেদিনের পুলিশের অত্যাচারে অনেকে এখনও হাসপাতালে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। দিদিও তো অনেক গণআন্দোলন করেছেন, এবার উনি কী বলবেন?” ওইদিন নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দীপক পাঁজা। পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও আজও নিখোঁজ তিনি।
দেখুন ভিডিও: