বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: BJP ও তৃণমূলকে এক পংক্তিতে রেখে ‘বিজেমূল’ বলার ভুল সদ্যই স্বীকার করেছে বঙ্গ সিপিএম। সেই ভুল স্বীকারের পরই তৃণমূলের (TMC) পাশে দাঁড়াল সিপিএম (CPM)। ত্রিপুরায় তৃণমূল যুবনেতাদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সুজন চক্রবর্তীরা। জঙ্গলের রাজত্ব চলছে বলে অভিযোগ আলিমুদ্দিনের। শনিবার ত্রিপুরার ঘটনায় এভাবেই নিন্দা করল সিপিএম নেতৃত্ব। বাংলা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি ত্রিপুরায় বিরোধীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগে সরব সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। বিবৃতি জারি করে নিন্দায় সরব ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাকমণ্ডলী।
শনিবার ত্রিপুরার (Tripura) কমলপুর এলাকায় আক্রান্ত হন সিপিএমের নেতা, কর্মীরা। আক্রান্তদের দেখতে যাচ্ছিলেন এ রাজ্য থেকে যাওয়া তৃণমূলের বেশ কয়েকজন ছাত্র যুব নেতা। তাঁদের উপর বিজেপি (BJP) কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত হন ছাত্র-যুবরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা শোনা গেল সুজনের গলায়। তিনি জানান, কমলপুর এলাকায় বিজেপির আক্রমণের তাঁদের পার্টির কয়েকজন নেতা-কর্মী আক্রান্ত হন। সেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আক্রান্তদের দেখতে হাসপাতালে যান। খবর পেয়ে এলাকায় যাচ্ছিলেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন ছাত্র যুব নেতৃত্ব। মাঝ রাস্তাতেই তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে খুন করে টোটো ছিনতাই, এবার অপরাধীদের ‘টার্গেট’ চালকরা!]
ঘটনার নিন্দা করে সুজন বলেন, “ত্রিপুরায় জঙ্গলে রাজত্ব চলছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে তার সঙ্গে সিপিএম সহমত। সেখানে ক্ষমতা বদলের পর থেকেই বামপন্থীদের উপর আক্রমণ চলছে। যেভাবে ২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় বামপন্থীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছিল।” বিজেপি বাংলা থেকে সেই শিক্ষা নিয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ সুজনের। তিনি বলেন, ”বামপন্থীরা যখন বাংলা বা ত্রিপুরায় শাসন ক্ষমতায় ছিল, তখন যে কেউ সেখানে যেতে পারত। সকলের রাজনীতি করার অধিকার ছিল। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল ও ত্রিপুরায় বিজেপি চায় না, বিরোধীরা রাজনীতি করুক। তাই দুই রাজ্যে বিরোধীদের উপর আক্রমণ চলছে।” যদিও দেবাংশু, সুদীপ, জয়াদের উপর হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলের উপর হামলা হয়নি, অশান্তি ছড়াতেই তৃণমূলের সদস্যরা ত্রিপুরা গিয়েছেন।