সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সুকান্ত মজুমদারের মুখে দিলীপের স্তুতি। শুক্রবার পাশাপাশি বসে পান্তাভাতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন দুজনে। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর সুকান্ত দাবি করলেন, "দিলীপ ঘোষকে দেখে রাজনীতিতে এসেছি।" দ্বন্দ্ব নেই বোঝাতে বারবার দিলীপ-সুকান্ত ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।
প্রচণ্ড গরম ভোট। প্রচারে কোনও খামতি রাখা যাবে না। এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তাভাতের জুড়ি মেলা ভার। তাই পান্তাভাতে শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজ সারেন বঙ্গ বিজেপির বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি। পান্তাভাতের সঙ্গে মেনুতে ছিল মাছভাজা, কলমিশাক ভাজা, কাঁচা পিঁয়াজ আর আচার। বর্ধমানের সভা শেষ করে মোদি বেরিয়ে যাওয়ার পরই সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসেন দিলীপ ঘোষ। সোশাল মিডিয়ায় দুটি ছবি পোস্টও করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ন’ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ট্রেনের দেখা নাই, কলকাতা-হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ]
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সেনাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বর্তমান সেনাপতি সুকান্ত মজুমদারের এদিন আড্ডা ও গল্পও জমে উঠেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পান্তাভাতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে তার সঙ্গে রাজনীতিও ঢুকিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। সোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘গরম ভাতে জলের মতোই তৃণমূলী সন্ত্রাসের গরম হাওয়ায় জল ঢালবে বিজেপি।’’
উল্লেখ্য, সুকান্ত রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক বিষয়ে মাঝেমধ্যেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। বঙ্গ বিজেপির মধ্যে দিলীপ-সুকান্ত জমানার সাফল্যের তুলনা এখনও উঠে আসে। আপাতত শরীর ঠান্ডা রাখতে পান্তাভাত খেয়ে পুরনো বিতর্কও ঠান্ডাঘরেই ঢুকে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দলের একাংশের আবার কথায়, সুকান্ত-দিলীপের একসঙ্গে বসে এই পান্তাভাত খাওয়ার মধ্যে দলেতে যে ঐক্যের বার্তা ধরা পড়েছে তা দলের অন্য কোনও শিবিরের কাছে আবার ঈর্ষার কারণও হয়ে উঠতে পারে।