সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধার বাতিল ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সোমবার রাতের মধ্যেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, একটি আধার কার্ডও বাতিল হয়নি। যদি বাতিল না হয় তবে কেন আধার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন বিজেপি নেতা, পালটা প্রশ্ন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
গত সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বহু বাসিন্দা আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে চিঠি পান। নদিয়া, দুর্গাপুর এবং হুগলিতেও একই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়। আধার কার্ডের ২৮-এ রেগুলেশনে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিধানসভা এবং রবিবার বীরভূমের সিউড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আধার বাতিল ইস্যুতে সুর চড়ান মমতা। রাজ্য সরকার সকলের পাশে আছে বলেই আশ্বাস। যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের অভিযোগ জানানোর জন্য মুখ্যসচিবকে একটি অনলাইন পোর্টাল তৈরির নির্দেশও দেন।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে বসে আধার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, কতক্ষণের মধ্যে সমস্যা সমাধান হতে পারে সেই ডেডলাইনও বেঁধে দিলেন তিনি। বিজেপি নেতার আশ্বাস, সোমবার রাতের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে অভিযোগ জানানোর দরকার নেই। স্থানীয় বিজেপি কার্যালয় যোগাযোগ করুন।” আধার সমস্যা নিয়ে অমিত শাহ এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে X হ্যান্ডলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে আধার সমস্যা বলেই দাবি তাঁর।
আধার বিভ্রাটে ক্ষমা চাইলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরটি হল: ৯৬৪৭৫৩৪৪৫৩। তিনি জানান, ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সমস্যার কথা জানালে একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। তাতেই মিটবে সমস্যা। তবে একটি আধার কার্ডও বাতিল হয়নি বলেই দাবি সুকান্তর। CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর পক্ষে আরও একবার সওয়াল করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টির।”
অবশ্য আধার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিজেপি ‘স্ববিরোধী’ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দু, সুকান্ত যা বলছে তাতে স্পষ্ট বড় কোনও চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। তাদের সরকারের লোকজন আধার কার্ড লিঙ্ক কেটে সাধারণ মানুষকে হয়রান করছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করায়, রাজ্য সরকার পাশে থাকবে বলার পর পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছেন। মমতার কড়া অবস্থানে ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। আমরা বরদাস্ত করব না।” সুকান্ত মজুমদারের নির্ধারিত ডেডলাইনে আধার কার্ডের সমস্যা মেটে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
দেখুন ভিডিও: