স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী কার দেওয়া ফোন ব্যবহার করেন, যে শাড়ি পরেন তার টাকা কোথা থেকে আসে? দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব তৃণমূল।
দলের তরফে দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও ডাঃ শশী পাঁজা এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বুধবার বিজেপির লাগাতার মহিলা বিদ্বেষ ও কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করেছেন। সুকান্ত মজুমদারকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছেন,‘‘বিজেপি মহিলাদের সম্মান দেয় না। সম্মান দিতেও জানে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতারা একের পর এক মহিলাকে অসম্মান করে চলেছেন। নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষে যোগীরাজ্য।’’
[আরও পড়ুন: সিমকার্ড, ইন্টারনেট ছাড়াই ফোনে চলবে ভিডিও! প্রয়ুক্তিতে ‘বিপ্লব’ আনবে কেন্দ্র]
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ্যমন্ত্রীর আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কার দেওয়া ফোন ব্যবহার করেন, যে শাড়ি পরেন তার টাকা কোথা থেকে আসে। উনি যদি ভাতা না নেন, তাহলে নিশ্চয়ই বিনা পয়সায় কেউ দিয়েছে। আর এখনকার দিনে ফ্রিতে কেউ জিনিস দিলে সে নিশ্চয় ‘ধান্দা’ ছাড়া দেবে না।’’
বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লেখেন, ‘‘’প্রধানমন্ত্রীর ‘দিদি ও দিদি’ ডাকের পর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এখন মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করেছে। ‘ধান্দা’ শব্দের মত অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই ধরনের মন্তব্য তাদের নারীবিদ্বেষী মনোভাবের পরিচয় দেয়। সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’’
[আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারেও ‘বঞ্চিত’, সরকারি পরিষেবা দিতে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
সুকান্তকে বিজেপির ট্রেনি সভাপতি বলে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যে ধরনের কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তা নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী খুব স্পষ্টভাবে তাঁর জীবনযাপনের কথা বলে দেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বেতন, পেনশন, সুযোগ, সুবিধা নেন না। তবে তাঁর বিপুল সংখ্যক বই, গান, সিডির জন্য যে সাম্মানিক পান সেগুলি দিয়ে তাঁর সরল-সাদামাটা জীবনযাত্রা দিব্যি চলে যান। এর মধ্যেই তিনি কখনও-সখনও কাউকে কিছু উপহারও দেন।’’ ধান্দা শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বঙ্গ-বিজেপি সভাপতিকে রীতিমতো তুলোধনা করে কুণাল বলেন, ‘‘সুকান্ত মজুমদার বলেছেন ‘ধান্দা’, এটা একটা কুরুচিকর, কুৎসিত শব্দ। একজন মহিলা সম্পর্কে এটা কী ধরণের মুখের ভাষা? অবশ্য বিজেপিকেই এটা একমাত্র মানায়, যারা মহিলাদের সম্মান দেয়না, দিতে জানে না, সম্মান দেওয়ার মানসিকতাও নেই ওদের।”