বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কৈলাস বিজয়বর্গীয় যুগের অবসান। নয়া পর্যবেক্ষক পেল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনীল বনশলকেই বাংলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে অন্য রাজ্যের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে আর স্থায়ী পর্যবেক্ষক ছিলেন না কেউই। রাজ্য বিজেপির হাল ফেরাতে স্থায়ী পর্যবেক্ষক চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবারও করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নানা টানাপোড়েনের পর বুধবার নয়া পর্যবেক্ষক পেল বাংলার গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনীল বনশলকেই (Sunil Banshal) বাংলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি তিনি ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানাতেও পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
[আরও পড়ুন: বিকিনিতে ছবি পোস্টের জের! ৯৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ অধ্যাপিকা, দ্বারস্থ হাই কোর্টের]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তেমন আশানুরূপ ফল করতে পারেনি পদ্মশিবির। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বারবার বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে হুঙ্কারই সার। তেমন আশাপ্রদ ফল করতে পারেনি বিজেপি। পুরভোটেও দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্মশিবির। তারপর থেকে কার্যত মুষড়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। তার মাঝে আবার ‘দলবদলু’ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’ হয়েছে। সম্প্রতি একের পর এক গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার গেরুয়া শিবির। বারবার বঙ্গ বিজেপি নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সতর্ক করেছে।
এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির হাল ফেরাতে সুনীল বনশলের উপরই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সুনীলের। একসময় সংঘ প্রচারক ছিলেন। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে দায়িত্ব পান সুনীল বনশল। সেই সময় থেকে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলেই শোনা যায়। বাংলার ভূমিপুত্র সুনীল বনশল নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই তাঁকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমিত মালব্য।