সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবলের মক্কায় কুয়েত ম্যাচই শেষ। ৬ জুনের পর আর কোনও দিন জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন না সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। নামের আগে জুড়ে যাবে 'প্রাক্তন' তকমা। বৃহস্পতিবার আচমকা অবসর ঘোষণার পর বিষাদে ডুবে আছে দেশের ক্রীড়ামহল। আর সুনীল ছেত্রী? তিনি কি কাঁদবেন না ৬ তারিখের যুবভারতীতে?
হ্যাঁ, তাঁর চোখেও জল আসবে। তবে কুয়েত ম্যাচের দিন নয়। গত ১৯ বছরের মতো সেদিনও তিনি যুবভারতীতে নামবেন দেশের পতাকা উপরে তুলে ধরার জন্য। গোটা স্টেডিয়াম হয়তো আবেগের স্রোতে ভেসে যাবে। বিদায়বেলায় সতীর্থদের চোখেও জল দেখা দিতে পারে। কিন্তু তিনি কাঁদবেন পরদিন। কাজ যে এখনও বাকি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের পরের পর্বে পৌঁছতে হলে কুয়েতকে হারাতেই হবে। দেশের জার্সিতে কর্তব্য মেটানোর পরেই আবেগের দরজা খুলবেন নিজের জন্য।
[আরও পড়ুন: ব্যর্থতা সত্ত্বেও ফল নিয়ে চিন্তা নেই, নেতৃত্বের বিষয়ে সাফাই হার্দিকের]
এদিন তিনি বলেন, "৬ জুন আমি অবসর নেব। ৭ জুন আমি হাউহাউ করে কাঁদব। ৮ জুন সারাদিন বিশ্রাম নেব। তার পর সময় কাটাব পরিবারের সঙ্গে।" অবসর পরবর্তী জীবনের পুরো পরিকল্পনা তাঁর তৈরি। যেভাবে ঠিক বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেওয়ার ছক তৈরি করে রাখেন। কিন্তু তার পরেও সেলিব্রেশন করেন না। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে গোলের পর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা যায়নি। শেষ ম্যাচেও কর্তব্যকেই এগিয়ে রাখবেন 'ক্যাপ্টেন, লিডার, লেজেন্ড'।
[আরও পড়ুন: বিরাটের সঙ্গে আলোচনা করেই অবসরের সিদ্ধান্ত, জানালেন সুনীল ছেত্রী]
কিন্তু এতই কি সহজ হবে নিজেকে আটকে রাখা? ২০১৩ সালে অবসর ঘোষণার সময় ওয়াংখেড়েতে কেঁদে ফেলেছিলেন শচীন। গোটা দেশও তাঁর সঙ্গে চোখের জলে ভেসেছিল। বছর তিনেক আগে বার্সেলোনা ছাড়ার পর মঞ্চেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন লিওনেল মেসি। সুনীল কি সত্যিই নিজের অবসর পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে পারবেন? ৬ জুনের যুবভারতী কিন্তু তারও পরীক্ষা নেবে।