সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সিনেপর্দায় পাকিস্তানের ‘ভিলেন’ রূপ এই নতুন নয়! ‘গদর ২’ ছবির আগেও দেখা গিয়েছে বহুবার। কিন্তু এবার পর্দায় সানি দেওলের পাকিস্তান-বিরোধ দেখে রাগে ফুটছে প্রতিবেশী দেশ। বলিউড অভিনেতাকে পালটা আক্রমণও করতেও পিছপা হননি পাকিস্তানিদের একাংশ।
একদিকে বক্স অফিসে যখন ৪০০ কোটির মাইলস্টোন পেরিয়েও অব্যাহত ‘গদর ২’ ঝড়, তখন সেই সিনেমা নিয়ে পাকিস্তানে উত্তেজনার অন্ত নেই। ৪০ বছরের কেরিয়ারে সানি দেওলের এমন ‘ঢায় কিলো কা হাত’-এর কামাল দেখেননি অনুরাগীরা। কিন্তু যে অভিনেতাকে নিয়ে গ্ল্যামারদুনিয়ায় এত্ত হইচই, সেই সানি দেওলকেই কিনা খুঁজছেন পাকিস্তানিরা! কেন?
কারণ, ‘গদর ২’ ছবির একাধিক রগরগে সংলাপে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সানি। পর্দায় অভিনেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, অর্ধেক পাকিস্তান খালি হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ছবির গল্পে ‘ঢায় কিলো কা হাত’ নিয়ে সেদেশের বাসিন্দাদের আছড়ে ফেলতেও দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। আর সেই ছবি দেখেই রেগে কাঁই প্রতিবেশী দেশের একাংশ। কেউ কেউ সানি দেওলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও ছুঁড়েছেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন সানি দেওল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেতা জানিয়েছেন, “দেখুন, এই দুই দেশের সম্পর্ক মূলত রাজনৈতিক বিষয়। ভারত হোক বা পাকিস্তান, দিনের শেষে মানবিকতাই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া গোটা সিনেমাটা কেউ যদি দেখে থাকেন, তাহলে বুঝবেন, আমি কাউকে ছোট করিনি। আমি কাউকে নিচু করায় বিশ্বাসী নই। ‘গদর ২’-র তারা সিংও সেই প্রকৃতির মানুষ নন কিন্তু।”
[আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে চড়ে যোগীরাজ্যে পৌঁছলেন অক্ষয় কুমার, আচমকাই কেন উত্তরপ্রদেশে ‘খিলাড়ি’?]
এরপরই সানি দেওলের সংযোজন, “সকলেই শান্তি চান। কেউ চান না অস্থির পরিস্থিতির শিকার হতে। আর এটাই একদম সঠিক সময় যখন নির্বাচনী দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার না করে গোটা বিশ্বকে দেখা উচিত রাজনীতিকদের। আর এই সিনেমাটাকে এত গুরুগম্ভীরভাবে নেওয়ার কিছু হয়নি। সিনেমা বিনোদনের জন্য। অন্য কোনও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গদর ২ তৈরি হয়নি। আর হ্যাঁ, সিনেমায় কিছু অতিরঞ্জিত বিষয় তো থাকবেই, কারণ সেভাবেই দর্শকরা হিরোদের দেখতে চান। সেরকম রংচঙ না থাকলে দর্শকরা উপভোগও করতে পারবেন না। কারণ, গল্পে ভাল-খারাপ থাকবেই।”
প্রসঙ্গত, বলিউডের আকালের বাজারে যে গতিতে বিজয়রথ ছোটাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব অভিনেতার, তাতে হতবাক অনেকেই। বিশেষ করে মুখ লুকিয়েছেন নিন্দুকরা! ইতিমধ্যেই সলমন খান, রণবীর কাপুরদের রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ‘ঢায় কিলো কা হাত’-এর মালিক। কেজিএফ-এর রেকর্ডও ছাড়িয়েছে। তাঁর বক্সঅফিস মার্কশিটের নম্বরের ধারেকাছেও নেই বলিপাড়ার নবীন প্রজন্ম। এবার ‘পাকিস্তান-বিরোধী’ তকমা নিয়ে মুখ খুললেন সানি দেওল।