সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ জুন, রবিবারই প্রেমিকা দৃশা আচার্যর গলায় বরমালা পরিয়ে অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সারা জীবনের জন্য সাত পাকে বাঁধা পরেছেন বলিউডের দেওল পরিবারের নবীন প্রজন্মের বড় সন্তান করণ দেওল। ছেলের জীবনের এমন বিশেষ দিনে আনন্দে আত্মহারা সানি দেওল। বাঙালি বউমা পেয়েও বেজায় খুশি শ্বশুর। বলছেন, “এবার একটা মিষ্টি মেয়ে পেলাম।”
গৃহলক্ষ্মী দৃশাকে পরিবারে স্বাগত জানিয়ে শ্বশুর সানি দেওল স্বয়ং একটি আদুরে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। করণ-দৃশার বিয়ের একাধিক ছবি শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, আজ একটা মিষ্টি মেয়ে পেলাম। আমার সন্তানদের প্রাণভরে আশীর্বাদ করছি। ঈশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুন। আজ যে তিনি বিশ্বের সবথেকে খুশি এবং গর্বিত বাবা পোস্টে সেকথাও উল্লেখ করেছেন সানি দেওল।
প্রসঙ্গত, দৃশা আচার্য আসলে কিংবদন্তী বাঙালি পরিচালক বিমল রায়ের প্রপৌত্রী। মেয়ে রিঙ্কি ভট্টাচার্য, যাঁর বিয়ে হয়েছিল পরিচালক বাসু ভট্টাচার্যের সঙ্গে, তাঁদের নাতনি দৃশা। দেওল পরিবারের বউমা যে আদ্যোপান্ত ফিল্মি পরিবারের মেয়ে, তা বলাই বাহুল্য। তিনি পেশায় দুবাইয়ের এক ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার।
[আরও পড়ুন: ‘বড় অপমান! রামায়ণকে টেনেহিঁচড়ে কলিযুগে নামাল’, ‘আদিপুরুষ’কে তুলোধোনা মুকেশ খান্নার]
উল্লেখ্য, ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে করণের বিয়ের অনুষ্ঠান। প্রথমে হয়েছিল রোকা। তারপর মেহেন্দি। শনিবার হয় সংগীত। যেখানে ‘ইয়মলা পাগলা দিওয়ানা’ গানে নাচতে দেখা যায় ঠাকুরদা ধর্মেন্দ্রকে। সানি দেওল ছিলেন ‘গদর’-এর তারা সিংয়ের মেজাজে। ববি এবং অভয় দেওলও নিজেদের সিনেমার গানে নেচে ওঠেন। দেওল পরিবারের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টলিউড পরিচালক অনীক দত্ত। সম্পর্কে তিনি দৃশার আত্মীয় হন। এছাড়াও আসর জমিয়েছিলেন রণবীর সিং।