অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাঙছে জানলার কাচ। বাড়ির ছাদে যেন কেউ ছুটছে। নিজে থেকেই পড়ে যাচ্ছে ঘরের জিনিসপত্র। খড়দহের পাতুলিয়ার কাছারিবাড়ির বাসিন্দাদের কাছে সন্ধে নামলেই বিভীষিকা। সত্যিই ভূতের দাপাদাপি নাকি সম্পত্তি হাতানোর তাগিদে কেউ এ কাজ করছে, তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রহড়া থানার পুলিশ।
কয়েকদিন ধরেই ‘ভূতের অত্যাচার’ সহ্য করছেন বলেই দাবি পরিবারের। ছাদের উপর দিয়ে অনবরত কেউ হেঁটে চলে যাচ্ছে। ঘরে বসে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ছাদে গেলে কারও দেখা মিলছে না। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে জানলার কাচ। প্রতিবেশীরাও এসব ‘ভৌতিক’ কর্মকাণ্ডের সাক্ষী। কারও কারও মতে, বাড়ি দখল করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িতে ভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক-সহ গ্রেপ্তার ৩]
খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। সংগঠনের সদস্য পার্থ দাশগুপ্ত আতঙ্কিতদের সঙ্গে কথা বলেন। ভূত এসব করছে, মানতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। তাঁর কথায়, “প্রয়োজনে কাগজে মুড়ে ইটগুলি সংগ্রহ করুন। ওই ইট পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে, কে বা কারা একাজ করছে।”
মাথা গোঁজার ঠাঁই বলে কথা, তাই তা ছেড়ে হঠাৎ বেরিয়ে যাওয়া মুখের কথা নয়। তবে ভূতের সঙ্গে বাস যে অসম্ভব। আতঙ্ক নিয়ে দিন গুজরানই যেন দায় হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের। তাই অবিলম্বে কোনও প্রতিকার হোক, আশা বসবাসকারীদের।