সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার (NV Ramana) বেঞ্চ পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। এবার সিটের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে তদন্তকারী দলের রিপোর্ট পেশের সময়সীমা বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিল, ওই রিপোর্ট ২০ জুনের মধ্যে পেশ করবে সিট।
পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে নিযুক্ত প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, পেগাসাস ‘স্পাইওয়্যার’ (Spyware) সংক্রমিত ২৯টি ফোন পরীক্ষার জন্য অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরেই রিপোর্ট পেশের সময়সীমা বাড়াল আদালত। যা আগামী ২০ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে সিটকে। মনে করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে পরবর্তী শুনানি হতে পারে জুলাই মাসে।
[আরও পড়ুন: এলাহাবাদ হাই কোর্টে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি স্থগিত ৬ জুলাই পর্যন্ত]
এদিন প্রধান বিচারপতি রামানা জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি ডিভাইসগুলি পরীক্ষার জন্য নিজস্ব সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে ২৯টি ফোন পরীক্ষা করে দেখা হবে, যে সেগুলি ‘স্পাইঅয়্যার’ সংক্রমিত কিনা। যদিও একটি সূত্রে দাবি, সিট এখনও পর্যন্ত ৩০০টি ‘স্পাইওয়্যার’-সংক্রমিত মোবাইলের সন্ধান পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও সংসদে অস্বস্তিতে পড়েছিল কেন্দ্র। ওই সময় দুই সাইবার বিশেষজ্ঞ জানান, তাদের হাতে আসা একাধিক মোবাইলে মিলেছে পেগাসাসের অস্তিত্ব। পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের দাবি জানিয়ে যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁদেরই কয়েকজন এই দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করেন। তাঁদের একজন জানিয়েছেন, তিনি সাতজন ‘আক্রান্ত’র আইফোন বিশ্লেষণ করেছেন। যার মধ্যে দু’জনের মোবাইলে পেয়েছেন পেগাসাসের অস্তিত্ব। একজনের মোবাইলে ২০১৮-র এপ্রিলে হানা দেয় ‘স্পাইওয়্যার’।
[আরও পড়ুন: কর্মীদের আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার নির্দেশ, মোদির মুখে দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা]
মঙ্গলবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিন বছর আগে বাংলার সরকারের কাছেও পেগাসাস কেনার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সরাসরি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কারণ মানুষের কথা বলার অধিকার তিনি কেড়ে নিতে দেবেন না, চানও না। কিন্তু মানুষের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে তা কিনেছিল বিজেপি শাসিত সরকার। পেগাসাস প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে জোরালো আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ফোন ট্যাপ করে। এমনকী আমার ফোন ট্যাপ করা হয়। কোনও কথা বললে সবকিছু জেনে নেবে ওরা।”