সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির (ED) ক্ষমতায় সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, অর্থপাচারের মামলায় (PMLA) গ্রেপ্তার, তল্লাশি এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হল ইডিকে। কিন্তু সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, ইচ্ছামতো গ্রেপ্তার করা যাবে না অভিযুক্তকে। এছাড়াও ইডির দায়ের করা অভিযোগের কপি অভিযুক্তের হাতে দিতে বাধ্য নয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির গ্রেপ্তারির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশ জুড়ে বেশ কিছু অর্থপাচারের মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে প্রভাব পড়বে সেই মামলাগুলিতেও।
তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইডিকে। তাছাড়াও তল্লাশি চালানো এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতেও পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই সমস্ত কার্যাবলিই সংবিধানে স্বীকৃত। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ইডির বিপুল ক্ষমতা ব্যবহার করে যেন ইচ্ছামতো গ্রেপ্তারি না হয়।
[আরও পড়ুন: দু’বছরে দেশে ৪,৪৮৬ জন জেলবন্দির মৃত্যু! শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ, জানাল কেন্দ্র]
অর্থপাচার মামলায় (Prevention of Money Laundering) ইডির হেফাজত থেকে জামিন পেতে গেলে যা শর্তাবলি রয়েছে, সেগুলিকেও মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে ইসিআইআরের কপি অভিযুক্তের হাতে দিতে বাধ্য নয় ইডি। শুধুমাত্র গ্রেপ্তারের কারণ জানিয়ে দিতে হবে অভিযুক্তকে। মামলার প্রাথমিক স্তরে এইটুকুই যথেষ্ট বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, এফআইআর এর সমতুল্য বলে মনে করা হয় ইসিআইআরকে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, “ইডির ক্ষমতাকে মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আইন তো আইনের পথেই চলছে। কিন্তু কংগ্রেস একটি পরিবারকে আইনের ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে চাইছে। সেই চেষ্টা কাজে লাগবে না। দেশের আইনকে সম্মান জানাতে হবে সকলকে।” প্রসঙ্গত, তিনদিন ধরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় জেরা করছে ইডি।