সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে স্বস্তি চিকিৎসক মহলে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরেই নিট-পিজি (NEET Post Graduate) কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপতত ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকছে ওবিসিদের (OBC) জন্য, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের (EWS) জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকছে। তবে সংরক্ষণের মানদণ্ডের বিচার পরে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। অবশেষে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষা হয়। তার পরেও কাউন্সেলিং হয়নি। এর প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছিলেন দেশের একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এইসঙ্গে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতাও। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। আদালত জানিয়েছে, চলতি বছরে আগের মতোই আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ টাকা আয়ের সীমা মানা হবে সংরক্ষণের মানদণ্ড হিসেবে। তবে ইডব্লুএস সংরক্ষণের মানদণ্ডের চূড়ান্ত বিচার হবে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ভরতির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপরেই নির্ধারিত হবে।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তাল দিল্লি, আন্দোলনে যোগ AIIMS-এর ডাক্তারদেরও]
গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষ আদালতকে বলেছিল, ইডব্লুএস সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করার মানদণ্ড আগে যা ছিল, এই শিক্ষাবর্ষেও তা বজায় রাখা যেতে পারে। সরকার দাবি করে, ভরতির সময় সংরক্ষণের মানদণ্ড বদল করলে জটিলতা বাড়বে। উল্লেখ্য, সংশোধিত মানদণ্ডে ৮ লক্ষ বার্ষিক আয়ের সীমা বজায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু আয় নির্বিশেষে পাঁচ একর বা তার বেশি কৃষি জমি আছে এমন পরিবারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আর্থিক সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবারের আর্থ-সামাজিক তথ্য থাকাটা জরুরি। কেবল ৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় বললে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া কথা হয়ে দাঁড়ায়।” তিনি আরও বলেন, “নিট-পিজি এবং ইউজি-এর ক্ষেত্রে ইডব্লুএস শনাক্ত করার জন্য উল্লেখিত মানদণ্ড ব্যবহার করা হবে। পাণ্ডে কমিটির প্রতিবেদনের চূড়ান্ত বৈধতা সাপেক্ষে হবে বিষয়টি।”
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে চিকিৎসক-পুলিশ সংঘর্ষের জের, আন্দোলনে শামিল রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজও]
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ জুলাই কেন্দ্র একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ১৫% স্নাতক মেডিকেল কোর্সে ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ এবং ১০ শতাংশ ইডব্লুএস সংরক্ষণ এবং সর্বভারতীয় কোটার অধীনে ৫০ শতাংশ পিজি আসন সংরক্ষিত থাকবে। এরপরই গত অক্টোবরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল। যার ফলে নভেম্বরে কাউন্সেলিং স্থগিত হয়ে যায়। সেই কারণেই সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছিলেন রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। আজ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের স্বস্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, পিজি কাউন্সেলিং চালু করা হবে।