সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের (Lockdown) সময় স্কুলগুলির ফি বিতর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। করোনার (Corona Virus) জেরে এক বছরের উপর বন্ধ প্রায় সব স্কুল কলেজ। কোথাও অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, কোথাও তাও হচ্ছে না। কিন্তু প্রায় সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ফি কমানোর বিষয়ে অভিভাবকদের কোনও দাবিই মানেনি। নানা যুক্তি দেখিয়ে অনেক সময় কোনও আলোচনার পথে না গিয়েই আগের হিসাবেই ফি নিয়ে যাচ্ছে স্কুলগুলি। এবার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে সেখানে ফি কমানোর নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে রাজস্থান সরকার বেসকারি স্কুলগুলিকে ফি কমানোর নির্দেশ দেয়। তার পরেই সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা, এপ্রিলে কাজ হারিয়েছেন ৭০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়]
সম্প্রতি রাজস্থান সরকার সে রাজ্যের স্কুলগুলিকে ৩০ শতাংশ ফি কমাতে বলে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রথমে হাই কোর্টে যায় বেসরকারি স্কুলগুলি। কিন্তু সেখানেও কার্যত রাজ্য সরকারের নির্দেশই বজায় থাকে। এর পর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে আজ মঙ্গলবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বে এক বেঞ্চ বলে, স্কুলে যখন ক্লাস হচ্ছে না অনলাইনে পড়াশোনা চলছে তাহলে মেইনটেনেন্স, বিদ্যুৎ, জেনারেটরের ডিজেল, জল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেন টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে? স্কুলগুলির তো এই টাকা খরচই হচ্ছে না। এভাবে টাকা নেওয়া ব্যবসা করার সমান। তাই স্কুল বন্ধ থাকার কারণে যে যে খরচ এবং অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে না তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগমোহন, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর]
সুপ্রিম কোর্ট রাজস্থানের বেসরকারি স্কুলগুলির ফি ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১৫ শতাংশ কমাতে বলেছে। এর আগে রাজস্থান সরকার স্কুলগুলিকে ৩০ শতাংশ ফি কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশকে স্কুলগুলি চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারে এটা তাদের অধিকার।
এখন দেখার সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেশের অন্য রাজ্যের স্কুলগুলির উপর কী প্রভাব ফেলে। কারণ গোটা দেশেই ফি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ছবিটা প্রায় এক। সব জায়গাতেই বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অযথা টাকা নেওয়ার অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা।