সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষিজমিতে নাড়া (ফসলের গোড়া) আর খড়বিচালি পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত জানাল, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনকে সংশোধনের মাধ্যমে 'শক্তিহীন' করে তুলেছে সরকার। সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যেই এই আইনকে চূড়ান্ত রূপ দিয়ে তাকে প্রয়োগ করা হবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, ''আমরা কেন্দ্রকে একটা কাজ দিতে চাই। তারা কোনও পরিকাঠামো তৈরি করেনি। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন 'শক্তিহীন' হয়ে পড়েছে। আপনারা শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে জরিমানায় প্রতিস্থাপিত করেছেন ১৫ নম্বর ধারার সংশোধন করে।'' শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গুণমান সূচক কমেছে। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছেছে 'ভীষণ গুরুতর' পর্যায়ে। এর মধ্যে কোনও কোনও এলাকায় দূষণের অবস্থা ভয়াবহ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর শীত পড়ার আগে থেকে খারাপ হতে শুরু করে দিল্লির বাতাসের গুণমান। এবারও শীতDelhi শুরুর আগে এই সময় থেকে দিল্লির বাতাস ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে উঠছে। শুধু দিল্লি নয় নয়ডা, গাজিয়াবাদ-সহ আশেপাশের এলাকাগুলিও লাল সংকেতের দিকে এগোচ্ছে। আগামী দিনে এই দূষণ আরও খারাপ আকার নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রক কমিটির তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের বাজি উৎপাদন, বাজি সঞ্চয়, বিক্রি এবং পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু এহেন নিষেধাজ্ঞার সমান্তরালে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে কেন্দ্র করে আশঙ্কা বাড়ছে। দূষণ রোধে নিষেধাজ্ঞা না মেনে খড় পোড়ানোর অভিযোগে হরিয়ানার কাইথালে গ্রেপ্তার ১৪ জন কৃষক। খড় পোড়ানোর ঘটনা রোধে ব্যর্থতার জন্য কৃষি দপ্তর বিভিন্ন জেলার কৃষি আধিকারিক ও কর্মী মিলিয়ে ২৪ জনকে বরখাস্ত করেছে।