সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার মামলায় নিজের রায়ই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের মত, তাঁদের দেওয়া রায়ের অপব্যবহার করেছে গুজরাট সরকার। কার্যত জালিয়াতি করে তথ্য গোপনের মাধ্যমে ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গোটা ঘটনার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়কেই বাতিল বলে ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত।
১৯৯২ সালের আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ন্যূনতম ১৪ বছর তার বেশি সময় সাজা কাটানোর পর তাঁদের আচরণের ভিত্তিতে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে সেই রেহাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কোর্ট। তার পরেই ২০২২ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অপরাধীদের আগাম জামিন দেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য়, গুজরাট দাঙ্গার পরে এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মহারাষ্ট্রে, যেন তদন্ত প্রভাবিত না হয়।
[আরও পড়ুন: নৌকাবিহারেই বিপর্যয়, পথ হারিয়ে চিল্কায় দুঘণ্টা আটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
এহেন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিলকিসের ধর্ষকদের একজন। রাধেশ্যাম ভগবানদাস শাহের আবেদন ছিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যেন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্র সরকারের কাছেও একই আবেদন জানান তিনি। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে কোনও জবাব আসার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে গুজরাট সরকার চাইলে মুক্তি দিতে পারে বিলকিসের ধর্ষকদের। সেই রায়ের ভিত্তিতেই ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তি পায় ১১ ধর্ষক।
সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে গুজরাট সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপব্যবহার করেছে গুজরাট। জালিয়াতি উপায়ে, তথ্য গোপন করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের মনে রাখা উচিত ছিল, একমাত্র মহারাষ্ট্র সরকারের এক্তিয়ার আছে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার। উল্লেখ্য, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি পাওয়া ধর্ষকদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।