সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পতঞ্জলির ‘ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের। এবিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ”সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।” গত নভেম্বরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানায় পড়তে হবে যোগগুরু রামদেবের মালিকানাধীন সংস্থাকে। সেই মামলাতেই এদিন সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে মোদি সরকারও।
আধুনিক ওষুধের বিরোধিতা করে ভুল তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করছে পতঞ্জলি (Patanjali), এই মর্মে মামলা দায়ের করে আইএমএ। আগেই পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলোকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছিল শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিভ্রান্তিকর বা ভুয়ো তথ্য নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত দেশের প্রবীণতম সাংসদ, ভুগছিলেন বয়সজনিত অসুখে]
এদিন সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকেও ভর্ৎসনা করে কেন্দ্র। বিচারপতিদের বেঞ্চের মন্তব্য, ”এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।” পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে হাজির আইনজীবীদের কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভুয়ো মেডিক্যাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সমাধান বের করতে হবে কেন্দ্রকে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে পতঞ্জলির সঙ্গে রামদেবকেও ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ”গুরু স্বামী রামদেব বাবার কী হল? আমরা ওঁকে শ্রদ্ধাই করি, যেভাবে উনি যোগকে জনপ্রিয় করেছেন। কিন্তু ওঁর উচিত নয় অন্য ব্যবস্থার সমালোচনা করা। আপনা দেখেছেন ওঁদের বিজ্ঞাপনে কীভাবে সমস্ত চিকিৎসকদের রীতিমতো খুনি হিসেবে দেখানো হয়েছে। বড় বড় বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের পাশে থাকার বার্তা, ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি মোদির]
উল্লেখ্য, রামদেবের (Baba Ramdev) বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। কোভিড অতিমারীর সময়ে করোনার চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথির ব্যবহার নিয়ে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন যোগগুরু। চিকিৎসকদেরও তোপ দাগেন তিনি। তার পরেই একাধিক রাজ্যে এফআইআর দায়ের করে আইএমএফ। সমস্ত অভিযোগের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন যোগগুরু। সেই তদন্ত চলাকালীনই পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল তাঁর।