সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও শেষরক্ষা হল না। আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। তবে হস্তক্ষেপ না করলেও মানিক ভট্টাচার্যের করা মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম রক্ষাকবচ থাকায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করতে বেশ বেগ পেতে হয় ইডিকে। অবশেষে সোমবার মধ্যরাতে মানিককে গ্রেপ্তার করে ইডি। বুধবার তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগী এই গ্রেপ্তারির বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দ্রুত শুনানির আরজি জানান। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এই মামলায় শীর্ষ আদালত ইডিকে নোটিস দিতে বলেছে বলে খবর। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে মঙ্গলবার ইডি হেফাজতে ভাল করে ঘুম হয়নি মানিকের। বিশেষ কিছু খাননি, এমনটাই খবর।
[আরও পড়ুন: ‘টাকার পাহাড়’ নিয়ে লোকাল ট্রেনে সফর! নৈহাটিতে নামতেই পুলিশের জালে যুবক]
প্রসঙ্গত, জুন মাসে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের তদন্ত শুরু হয়। সেই সূত্রে ধরেই একের পর এক গ্রেপ্তারি হয়েছে। সেই তালিকায় জুড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নাম। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
SSC দুর্নীতি মামলায় একাধিকবার মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিক দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানোর পর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে তারপরও তিনি ছিলেন তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার এই মামলায় নথিপত্র দিয়ে সাহায্যের জন্য তলব করা হয়েছিল। বারবার তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেসময় লুকআউট নোটিসও (Lookout Notice) দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে।