সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংরাজি বোঝেন না। সেই জন্য শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) এসে হিন্দিতেই নিজের মামলার শুনানি করতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, আদালতের কাজে হিন্দি ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজন পড়লে অন্য আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে মামলার শুনানি করতে হবে। দেশজুড়ে হিন্দি আগ্রাসনের মধ্যে আদালতের এই সিদ্ধান্তে বেশ ধাক্কা খাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তামিলনাড়ুর বিধানসভায় হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছিল রাজ্যের সরকার।
জানা গিয়েছে, শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন শংকর লাল শর্মা নামে এক ব্যক্তি। শুনানির সময় আসতেই উঠে দাঁড়িয়ে হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ে বিচারকের আসনে ছিলেন কে এম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদালতের কাজে ইংরাজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। বিচারপতি জোসেফ বলেন, “আপনার মামলাটি দেখেছি। পুরো বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। তার উপরে আপনি কী বলছেন সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। আদালতের ভাষা ইংরাজি। আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমরা অন্য আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দিতে পারি।”
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ত্রণের দাবিতে জোরালো যুক্তি মামলাকারীর, আরজি শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট]
সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল মাধবী দিওয়ানকে ডেকে আনা হয়। বিচারপতিদের কথা শংকরকে বুঝিয়ে বলেন তিনি। সেই সময়ে আদালতে উপস্থিত থাকা এক আইনজীবীকে শংকরের হয়ে লড়তে অনুরোধ করা হয়। তিনি রাজি হতেই ইংরাজিতে গোটা মামলার শুনানি শুরু হয়। পরবর্তী শুনানির দিনও নির্ধারণ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক রাষ্ট্রসংঘে, এমন দাবিই করা হয়েছে সেই সুপারিশপত্রে।
পাশাপাশি হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হাই কোর্টের কাজের ভাষাও করা হোক হিন্দিকে, বলা হয়েছিল ওই প্রস্তাবে। এছাড়াও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ইংরাজির জায়গায় এবার থেকে হিন্দি রাখতে হবে। এমনই নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে। এরপর থেকেই হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ তুঙ্গে উঠেছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল তামিলনাড়ুর বিধানসভায়। সেখান থেকে ওয়াকআউট করে গিয়েছিলেন বিজেপির বিধায়করা।