সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই সংক্রান্ত ঘটনাগুলির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন নিয়ে যে দাবি করা হয়েছিল নিহতদের পরিবারের তরফে, তা নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা? তা জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিস পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
রাজ্যে ৮ দফা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২ মে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। তবে দুর্ভাগ্যবশত তারপর থেকেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসা, প্রাণহানির খবর মিলছিল। ওইদিন রাতেই কাঁকুড়গাছি এলাকায় অভিজিৎ সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরেরদিন ক্যানিং এলাকায় হারান অধিকারী নামে এক বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে খুন হন। এরপরও দিন দুই ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন সংঘর্ষের মাঝে পড়ে। তবে মূলত অভিজিৎ সরকার ও হারান অধিকারী – এই দু’জনের পরিবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন ছিল, মামলার তদন্তে শীর্ষ আদালতের নেতৃত্বে ‘সিট’ গঠন করে তদন্তভার দেওয়া হোক।
[আরও পডু়ন: ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় তওকতের তাণ্ডবে প্রাণ গেল অন্তত ২১ জনের, এখনও চলছে ধ্বংসলীলা]
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি ছিল। এদিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা জানতে চান, রাজ্য এ নিয়ে কী ভাবছে? সিট গঠন নিয়ে কী মতামত সরকারের?এসব জানতে চেয়েই রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি (Post Poll Violence)নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও মামলা হয়েছিল। তাতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সবক’টি ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্টেও কি একই যুক্তি পেশ করতে পারে রাজ্য সরকার?