সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার দায়িত্ব নিতে নারাজ দুই ছেলেকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের কথায়, “বাবার ভরনপোষণের জন্য টাকা দিয়ে কোনও দয়া করছেন না।” দিল্লির বাসিন্দা দুই ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, বাবার দেখভালের জন্য কানাকড়িও দিতেও রাজি নয় তাঁরা। ছেলেদের এমন ব্যবহারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ বাবা।
দিল্লির করলবাগের পৈতৃক বাড়িতেই থাকতেন আবেদনকারী বৃদ্ধ। সেখানেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকে দুই ছেলেও। আদালত সূত্রে খবর, দুই ছেলেই বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। মাসে মোটা টাকা মাইনে পান। পাশাপাশি, করলবাবাগের বাড়িতেও ভাড়াটিয়া রয়েছে। তার দরুন দুই ভাই মাসে ভাড়া পান। অথচ সেই বাড়ি থেকেই বাবাকে বিতাড়িত করতে চাইছেন ছেলেরা।
[আরও পড়ুন : ফের উত্তরপ্রদেশ, এবার বাড়িতে ঢুকে তিন দলিত নাবালিকার উপর অ্যাসিড হামলা]
এর বিরুদ্ধে গত বছর ট্রাইব্যুনাল কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধ। সেই সময় বাবার দেখভালের দুই ছেলেকে মাসিক ৭ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কোর্ট। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় দুই ছেলে। সেই সময় ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। বিপাকে পড়ে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অসহায় বাবা।
জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেই মামলার শুনানি চলাকালীন দুই ছেলেকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেন, “ভুলে যাবেন না, আজ আপনারা যা কিছু হয়েছেন তা শুধুমাত্র এই মানুষটার জন্যই।” পৈতৃক বাড়িতে ভাড়ার টাকা ভাগও বাবাকে দেন না জেনে আদালত ফের দুই ছেলেকে প্রশ্ন করেন. “ভাড়ার টাকার ন্যূনতম ভাগও বাবাকে না দিয়ে কীভাবে থাকতে পারেন আপনারা? আদালতের কথায়, “বাবার দৌলতেই এই সম্পত্তি আপনানা পেয়েছেন। তাই তাঁকে বঞ্চিত করতে পারেন না।” এক সপ্তাহের মধ্যে দুই ছেলেকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজকের দিনে ৭ হাজার টাকায় একজনের মাসিক খরচ চলতে পারে না, এই যুক্তি দেখিয়ে মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার আরজি জানিয়েছেন বৃদ্ধের আইনজীবী।