সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টক শো-তে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) লাগামছাড়া মন্তব্যের পরে গোটা দেশে হিংসা ছড়িয়েছিল। সেই কথা স্মরণে রেখে টেলিভিশন টক শো-তে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) নিয়ে ফের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ধরনের বিতর্কগুলিতে উপস্থাপকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত। এইসঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, এরকম ক্ষেত্রে সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে কেন।
গত বছরের আবেদনের ভিত্তিতে এদিনের শুনানিতে বিচারপতি কেএম জোসেফের (KM Joseph) পর্যবেক্ষণ, “মূলধারার মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি নাগরিকের বক্তব্য সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত। ঘৃণাভাষণ হলে তা সময় মতো রুখে দেওয়াই উপস্থাপকের দায়িত্ব। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ… আমাদের এখানে বিষয়টি আমেরিকার মতো নয়। কোথায় থামতে হবে সেটা মাথায় রাখতে হবে।” বিচারপতি আরও বলেন, “ঘৃণাভাষণের একাধিক লেয়ার রয়েছে… বিষয়টি মানুষ খুন করার সামিল, অনেক ভাবে খুন করা যায়। সরকারের উচিত প্রতিপক্ষের অবস্থান না নিয়ে আদালতকে সাহায্য করা।”
[আরও পড়ুন: PM CARES-এর নতুন ট্রাস্টি শিল্পপতি রতন টাটা, জানাল মোদির দপ্তর]
এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর। এই সময়ের মধ্যে আদালতের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, ঘৃণাভাষণ রোধে আইন কমিশনের সুপারিশগুলি নিয়ে তাদের বক্তব্য ঠিক কী। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেই আইন কমিশন ঘৃণাভাষণ রুখতে বিশেষ আইনের সুপারিশ করেছিল। কমিশনের বক্তব্য ছিল, দেশের সংবিধানে ঘৃণাভাষণের কোনও সংজ্ঞা নেই। ফলে বাক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে ঘৃণাভাষণের ঘটনা ঘটছে। ফলে অশান্তি ছড়াচ্ছে দেশে।
[আরও পড়ুন: ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সংবিধান বেঞ্চের সব শুনানির সরাসরি সম্প্রচার, বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
কেবল টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়াই নয়, প্রকাশ্য জনসভায় ঘৃণাভাষণ নিয়েও মাঝে উদ্যোগ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। ধর্ম সংসদের নামে লোক জড়ো করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরাখণ্ডে একটি ধর্ম সংসদের ঘৃণাভাষণের অভিযোগে একথা বলেছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। সেই সময় ঘৃণা ভাষণ রুখতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকমের পদক্ষেপ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।