সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই ধারালো হচ্ছে বায়ুদূষণের থাবা। এভাবে চললে আগামী প্রজন্মের উপরে এই দূষণের প্রভাব পড়বে সাংঘাতিক। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণের ছোবলে অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়া পাঁচটি রাজ্যের কাছে আলাদা করে জানতে চাইল দূষণরোধে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে এদিন বিচারপতি এস কে কৌল, সুধাংশু ধুলিয়া ও পি কে মিশ্রর বেঞ্চ দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান- এই পাঁচ রাজ্যের কাছে জানতে চাই দূষণরোধে কী পদক্ষেপ করেছে তারা। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই বাইরে বেরনোটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিল্লির (Delhi) মতো শহরে। এবং এটা বছরের পর বছর হয়ে চলেছে। আর বছরের এই সময় খড় পোড়ানো ধোঁয়াই যে বায়ুদূষণের প্রধান কারণ তাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়াও এদিন সুপ্রিম কোর্ট সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে।
[আরও পড়ুন: Mahua Moitra: ‘আমার ফোন, ইমেল হ্যাক করছে কেন্দ্র’, বিতর্কের মাঝেই বিস্ফোরক মহুয়া]
প্রসঙ্গত, একটি সাম্প্রতিক গবেষণার দাবি, দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর তো বটেই, এমনকী দূষণের কারণে রাজধানীর বাসিন্দাদের গড় কমছে গড়ে প্রায় ১২ বছর! গবেষকরা জানিয়েছিলেন, এই দূষণের জন্য দায়ী দিল্লির বাসিন্দারাই। যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া থেকে নির্মাণকাজের ফলেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লি শহর।